পাতা:এলিজিবেথ.pdf/৩৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

দ্বিতীয় ব্যক্তি নাই । কন্যা নাই যে শ্রদ্ধা ভক্তি করে, স্ত্রী নাই যে স্নেহ ও মমতা প্রকাশ করে। বিধাতা তাহাদিগকে এককালে সৰ্ব্ব বর্জিতু করিয়াই রাখিয়াছেন। যাহাদের দুঃখের সীমা পরিশেষ নাই, যাহাদের ক্লেশের অন্ত নাই, এবং অন্ত হইবার সম্ভাবনাও নাই, তাহারাই যথার্থ নিবৰ্বাসিত ও হতভাগ্য ।” । - ফেডোর এই কথার উপরিই পতিকে অনুযোগ করিয়া কহিয়া উঠিলেন, “ বটেইত পরমেশ্বর যখন তোমাকে এমন কন্যানিধান প্রদান করিয়াছেন, তখন আর তুমি কি দুঃখে এত খেদ করিতেছ, কহিতেছ তোমার किकूड़े নাই । डूमि সৰ্ব্বস্ব হারাইয়। বসিয়াছ, ই ছাই বা তোমার কেমন কথা। যদি পরমেশ্বর তোমাকে এ ধনেও বঞ্চিত করিতেন, তাছ। হুইলে তুমি কি করিতে এবং তোমার কি দশাই বা ঘটিত ” স্পৃিঙ্গর স্ত্রীর মুখহইতে এই সকল কথা শুনিয় এককালে চকিত হইয়া উঠিলেন, এবং তৎক্ষণাৎ অমনি কন্যা ও স্ত্রী উভয়ের দুই খানি হস্ত স্বহস্তে লইয়। আপনি বক্ষঃস্থলে চাপিয়া ধরিয়া কহিলেন, “ আহ ! সত্য বটে পরমেশ্বর আমাকে কি না দিয়াছেন, তিনি সকলই দিয়াছেন এবং সকলই দিয়। অামাকে সুখী করিয়াছেন।” তাহাদিগের এই প্রকার কথোপকথন হইতে হইতে রজনী প্রভাত হইল। স্মোলফ সেই নির্বাসিতদিগের নিকট বিদায় লইলেন। এলিজিবেথ অনেক ক্ষণ অবধি প্রতীক্ষা করিতেছিলেন, যখন স্মোলফ চলিয়। যাইবেন, তখন তিনি তাহার নিকটে, কেহ না জানিতে ও শুনিতে পায় এমনি ভাবে, আপনি যে সমস্ত কম্পনা করিয়াছিলেন তাহ। কহিয়া শুনাইবেন এবং যাহা সৎপরামর্শ হয় তাহ। গ্রহণ করিবেন। কিন্তু যখন স্মোলক্ষ চলিয়া যান তখন এলিজিবেথ এমন অবসর পাইলেন না যে গোপনে তাহার সন্নি