পাতা:এলিজিবেথ.pdf/৭৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

এলিজিবেথ। । ७१ তখন এলিজিবেথ উত্তর করিলেন, “ মহাশয়! আমার ভয়ের যে দুইটী কারণ আছে তাছা শুনুন । শুনিলে এখনি বুঝিতে পারিবেন। প্রথমতঃ কোন পথে ষাইতে হইবেক, তাহার কিছুমাত্র অবগত নহি। দ্বিতীয় কারণ এই ষে না বলিয়া গেলে আমার পিতার পক্ষে অনিষ্ট হইবার আশঙ্ক। আছে, আমি কেবল এই আশঙ্কায় পড়িয়াই গমন বিষয়ে আপনার পরামর্শ লইতে ও তদনুসারে কৰ্ম্ম করিতে প্রস্তুত হইয়াছি। এক্ষণে সবিনয়ে প্রার্থনা করিতেছি আমাকে কোন কোন গ্রামের মধ্যদিয়া যাইতে হইবেক ও পথপ্রাপ্ত হইলে কোন কোন পান্থশালায় থাকিতে হইবেক এবং কাহার সহায়তা অবলম্বন করিলে আমি অধিরাজের নিকট আপনার মনের কথা নিবেদন করিতে সমর্থ হইব, অনুগ্রহ করিয়া আমাকে এই সমস্ত বলিয়া দেউন। আর সর্বাগ্রে আমার নিকট এই প্রতিজ্ঞ করিয়া বলুন যে আমার এতাদৃশ দোষে যেন আপনার পিতার নিকট আমার নিৰ্দ্দোষী পিতাকে দণ্ডিত হইতে না হয় ।” স্মোলফ এই কথার শেষটী শুনিবামাত্র দশনে রসনা কাটিয়। শপথ পুৰ্ব্বক কহিলেন, “ না, না, এলিজিবেথ ! আমি এ বিষয়ে দৃঢ় প্রতিজ্ঞা করিয়া কহিতেছি, আমার পিতাহইতে তোমার পিতার কোন অনিষ্ট হইতে পাইবেক না। সম্পুতি তোমাকে এক কথা জিজ্ঞাসা করি, তোমার পিতার উপর অধিরাজের কিরূপ বোধ আছে, তাহ তুমি সবিশেষ জ্যনিতে পারিয়াছ কি না? অামি জানি আমাদের অধিরাজ তাহাকে আপনার কালস্বরূপ শবু বলিয়া জ্ঞান করেন।” এলিজিবেথ কছিলেন, “ মহাশয়! কোন অপরাধে তাহাকে এ রূপ দণ্ডিত হইতে হইতেছে আমি তাহার কিছুমাত্রই অবগত নহি। তাহার প্রকৃত নাম কি এবং জন্মভূমি কোথায় তাহা আজি পৰ্য্যন্তও আমার জ্ঞাতসার হয় নাই। কিন্তু