!» э এলিজিবেথ। পিতা যে সকল আপত্তি উত্থাপন করিবেন, আমি যেন বাক্যের কৌশলে সে সমস্ত খণ্ডন করিতে সমর্থ হই ।” শুিঙ্গর এলিজিবেথের বাষ্পাকুল কণ্ঠের ধ্বনি শুনিতে পাইবামাত্র তাহার দিগে নেত্রপাত করিলেন। এবং । দ্রুতবেগে নিকটে যাই য়। তাছাকে ক্রোড়ে করিয়া বার বার জিজ্ঞাসিতে লাগিলেন, “ বৎসে ! এলিজিবেথ ! কি হুইয়াছে ? তুমি কদিতেছ কেন ? যদি তোমার মনে কিছু দুঃখবোধ হইয়া থাকে তুমি আমার কোলে আসিয়৷ ক্ৰন্দন কর।” এলিজিবেথ উত্তর করিলেন,“ পিতঃ ! আর আমাকে এখানে রাখিও না। তুমি ত আমার মনের ভাব বুঝিতে পারিয়াছ, এখন আমাকে প্রস্থানের অনুমতি কর। পরমেশ্বর আপনিই আমার অন্তঃকরণে প্রবৃত্তি দিতেছেন।” এলিজিবেথের এই কথা শেষ হইতে না হইতে ভূত্য আসিয়া কহি ল, “ মহাশয় ! ম্মেলফ মহাশয় এখানে আসিয়াছেন ।’’ এলিজিবেথ স্মোলফ মহাশয় আসিয়াছেন এই কথা শুনিবামাত্র অতিমাত্র অহ্ন দিত হইয়। পিতার হস্ত ধরিয়া কাছতে লাগিলেন, “পিতঃ ! দেখ দয়াময় পরমেশ্বরের কি ইচ্ছা ! বোধ হইতেছে তিনি আমাদের প্রতি সদয় হইয়াছেন । তিনি মুখ তুলিয়া ন চাহিলে এমন ঘটনা কদাচই ছাইত না । তিনি যে ব্যক্তিকে এমন সময়ে এখানে আসিতে প্রবৃত্তি দিয়াছেন, তিনি সামান্য ব্যক্তি নছেন । যে কোন প্রকার কঠিন কৰ্ম্ম হউক না কেন, তাহার অসাধ্য বা দুঃসাধ্য কিছুই নাই । তাহার পক্ষে সকলই সহজ ও সকলই নিৰ্ব্বিস্ত্র । যাহা হউক এখন বোধ হইতেছে আমাহইতেই তোমার এই দুঃসহ নিৰ্ব্বাসন যাতনা অবশ্যই নিবারণ হইবেক সন্দেহ নাই ।” এলিজিবেথ পিতাকে এই কথা বলিয়াই স্মোলফের সহিত
