পাতা:এলিজিবেথ.pdf/৯৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

১২ । এলিজিবেথ । লেন তখন তাহার স্বর সবল ও সতেজ হইয়া উঠিল । এবং কন্যাকে অসাধারণ গুণ সম্পন্ন বোধ করিয়া আহলাদসাগরে নিমগ্ন হইলেন। আর কিছুতেই মনঃসংযোগ নাই, কেবল কন্যার গমন বিষয়েই ভাবনা করিতে লাগিলেন, মুখশ্ৰী মান হইয়। পড়িল। সৰ্ব্বাঙ্গ থর থর করিয়া কাপিতে লাগিল ৷ এক এক বার স্তন্ধভাবে কন্যার প্রতি নিরীক্ষণ করিয়া পরমেশ্বরের উদ্দেশে উৰ্দ্ধে দৃষ্টিপাত করিতে লাগিলেন। তিনি তখন এমনি বাস্থস্থান শূন্য হইয়া পড়িলেন, যে তাহার নিশ্বাস নির্গত করাও দুঃসাধ্য হইয়। উঠিল। এলিজিবেথ পিতা মাতার এই রূপ ভাব দেখিয়া তাহাদের উভয়ের সম্মুখে কৃতাঞ্জলিপুটে কহিতে লাগিলেন, “এক্ষণে আপনার অনুগ্রহ করিয়া অামার এক কথা শুনুন, অামি অনেক দিন অবধি পরমেশ্বরের নিকট এই প্রার্থন করিয়া আসিতেছি, যেন অামি তোমাদিগকে এই বিবাসন যাতনাহইতে উদ্ধার করিয়া স্বদেশে পুনঃস্থাপন পূৰ্ব্বক সুখসম্ভোগ করাইতে সমর্থ হই । প্রায় এক বর্ষ হইল আমি এই চিন্তাই করিতেছি । যাহা হউক, এখন ঈশ্বরের ইচ্ছায় প্রকৃত কৰ্ম্মে প্রবৃত্ত হইবার" উপযুক্ত সময় উপস্থিত ছাইয়াছে। এক্ষণে আপনার কৃপা করিয়া অনুমতি করিলেই প্রকৃত কার্য্যে চেষ্টা করিতে সমর্থ হই ।” এই কথা বলিতে বলিতে এলিজিবেথের সৰ্ব্বাঙ্গ থর থর করিয়া কঁাপিতে লাগিল। ব্যাকুলতায় কণ্ঠ অবরুদ্ধ প্রায় স্থ ইল। তথাপি তিনি পিতা মাতাকে অবলম্বন করিয়া অতি কষ্টে সেই সকল প্রার্থনা সমাপন করিলেন। স্পিঞ্জর এলিজিবেথের মস্তকে হস্তাপণ করিলেন, কিন্তু তাঙ্কার মুখদিয়া একটি কথাও নির্গত হইল না। তাছার জননী । ফেডোরা কহিয়া উঠিলেন, “ সে কি ! তুমি একাকিনী অসহায়িনী হইয় পদত্রজে যাইবে ? তলে ত আমি