পাতা:ঐতরেয় ব্রাহ্মণ - রামেন্দ্রসুন্দর ত্রিবেদী.pdf/২০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

So প্রথম পথিক কা [ ७न्न पं७ তাহাকে হোতা না বলিয় ] যিনি অনুবাক্য বলেন ও যিনি যাজ্য পাঠ করেন, তঁহাকে কেন হোতা বলা হয় ? ইহার উত্তর-“যদ্বাব• • • ভবতি ।” হে বৎস, যেহেতু সেই ( যাজ্য ও অনুবাক্যার পাঠক ) সেই [ যজ্ঞে ] দেবতাগণকে যথাস্থানে, উহাকে আবাহন করি, উহাকে আবাহন করি, এইরূপে আবাহন করিয়া থাকেন, সেই জন্যই হোতার হোতৃত্ব; [এই জন্য]। তিনিই হোতা হয়েন। ইষ্টবিধানে আহুতিদানের সময় দুইটি মন্ত্র পঠিত হয় ; একটি অনুবাক্য বা পুরোনুবাক্যা, আর একটি যাজ্য। অধ্বযু্য আহুতি দেন ও হোতা ঐ মন্ত্র পাঠ করেন। হোতৃ শব্দ হবেনাৰ্থ হু ধাতু হইতে নিষ্পন্ন, কাজেই আহুতিদাতার নামই হোতা হওয়া উচিত, অথচ তীহার নাম অধ্বযু্য ও মন্ত্রপাঠকের নাম হোতা হইল কেন ? ইহার উত্তরে বলা হইল, আঙ পূৰ্ব্বক বহ ধাতু হইতে হোতা ( অর্থাৎ আবাহনকৰ্ত্তা) নিষ্পন্ন করা চলিতে পারে; তাহা হইলে যিনি যাজ্য ও অনুবাক্য মন্ত্র দ্বারা দেবতাকে আবাহন করেন, তিনিই হোতা, ইহা বলিলে দোষ হয় না । হোতৃত্বজ্ঞান প্ৰশংসা যথা—“হোতেতি• • • বেদ” যিনি ইহা (উপযুক্ত উত্তরের প্রতিপাদ্য অর্থ )। জানেন, তঁহাকে হোতা বলা হয় । অর্থাৎ তিনি হোতৃকৰ্ম্মে কুশল হয়েন । তৃতীয় খণ্ড দীক্ষিতের বিবিধ সংস্কার এইরূপে ইষ্ট, আহুতি, উতি ও হেতু শব্দের অর্থ ব্যাখ্যা করিয়া দীক্ষিত যজমানের বিবিধ সংস্কারের প্রস্তাব হইতেছে,-“পুনর্বা-দীক্ষায়ন্তি ।” যাহাকে দীক্ষিত করা হইল, র্তাহাকে পুনরায় ঋত্বিকেরা গৰ্ভস্বরূপ করিবেন ।