পাতা:ঐতিহাসিক চিত্র (চতুর্থ বর্ষ) - নিখিলনাথ রায়.pdf/১৬১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

প্রোমের জয় । গভীর রাত্ৰি, চারিদিক গাঢ় অন্ধকারে আচ্ছন্ন, বর্ষার মেঘ অন্ধকাররাশিকে আরও গাঢ় করিয়া তুলিয়াছে। নৈশ পবন থাকিয়া থাকিয়া হু হু করিতেছিল, মাঝে মাঝে মেঘবক্ষে বিদ্যুল্লেখা চমকিয়া চক্ষু ঝলসিয়া দিতেছিল। এই সময়ে রাজমহলের নিম্নস্থ গঙ্গাবক্ষে কয়েকখানি তরণী ভাসিতে ভাসিতে পরপারে। যাইতেছিল। ক্ৰমে বাতাস প্রবল হইয়া নদীহৃদয়ে তুফান উঠাইল । মেঘমালা ইতস্তত: বিক্ষিপ্ত হইতে হইতে ধারা কারে পড়িতে লাগিল। বিদ্যুৎ বজে পরিণত হইয়া সহস্ৰ কামানের শব্দে দিগন্ত কঁপাইয়া তুলিল। বীজ, বৃষ্টি, বাতাস তিনে মিলিয়া একটি ক্ষুদ্র প্ৰলয়ের সুচনা করিল, অন্ধকার তাহদের সহায় হইয়া বিভীষিকার সঞ্চার করিতে লাগিল। তরণী কয়েকখানি সেই তুফান অতিক্ৰম করিয়া কোনরূপে পরপারে আসিয়া লাগিল। আরোহিগণ তীরভূমি দেখিয়া যেন জীবন ফিরাইয়া পাইলেন। তরণী তীরে লাগিল বটে, কিন্তু বাতাস ও বৃষ্টি একেবারে থামিল না। তাহাদের বেগ কিছু মন্দীভূত হইলে আরোহিগণের কেহ শিবিকায়, কেহ অশ্বপুষ্ঠে, কেহ হস্তিপৃষ্ঠে, কেহ বা গো-শকটে আরোহণ করিয়া কোনরূপে টাড়া দুর্গের সম্মুখে আসিয়া উপস্থিত হইলেন। তঁহাদের আগমনসংবাদ পাইবামাত্ৰ দুৰ্গরক্ষকগণ দ্বার খুলিয়া দিল, ঝন ঝন শব্দে দুর্গের দ্বার খুলিয়া গেল। আরোহিগণ দ্রুতবেগে দুৰ্গমধ্যে প্ৰবেশ করিলেন, তঁহাদের মধ্যে অধিকাংশই আৰ্দ্ধৰন্ত্রে দুর্গমধ্যে প্রবিষ্ট হন। নববর্ষা সকলকেই কিছু না কিছু পরিমাণে সিক্ত করিয়াছিল, আরোহিগণ কিন্তু তাহাতে কিছুমাত্র