পাতা:ঐতিহাসিক চিত্র (চতুর্থ বর্ষ) - নিখিলনাথ রায়.pdf/২৭৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বিজয়নগরে মুসলমান-সংঘর্ষ। (9)ፃ S) .. রামর্যায়ের শিবিক ফেলিয়া পলায়ন করিল। द्वामद्वान्न এক্ষণে স্বীয় বিপদ হৃদয়ঙ্গম করিয়া,উপায়ান্তরাভাবে শিবিক পরিত্যাগ করিয়া যেমন অশ্বারোহণ করিতে যাইবেন, অমান এক দল মুসলমান সৈনিক সবেগে তাহার নিকট উপস্থিত হইয়া সসৈন্য পরিবেষ্টিত রামরায়কে বন্দী করিয়া লইল । অতঃপর হিন্দুগণ উপযুক্ত নেতার অভাবে ক্রমশঃ শিথিল ভাব অবলম্বন করিতে লাগিল। এদিকে রামরায় নিজামশাহের সম্মুখে নীত হইলে, তিনি বর্ষীয়ান হিন্দুবীরের মস্তক ছিন্ন করিয়া উন্নত ভল্লাগ্রে প্রোথিত করিতে আদেশ প্ৰদান করিলেন । এই নৃশংস আচরণ অনুষ্ঠিত হইবার পর অনভিজ্ঞ হিন্দুসৈনিকগণ, নায়ক মৃত্যুমুখে পতিত হইয়াছেন। অবগত হইয়া, ভগ্নোদ্যমে :ক্রিমশঃ পশ্চাৎপদ হইতে লাগিল ; অচিরেই বিজয়নগরের বিপুলবাহিনী রণে ভঙ্গ দিয়া ছিন্ন ভিন্ন হইয়া যে যেখানে পারিল পলায়ন করিতে লাগিল। এই সুযোগে মুসলমানগণ হিন্দুদিগকে এরূপ পাশাবক পদ্ধতিতে হনন করিতে লাগিল যে, তাহাদিগের রুধির-প্রবাহে রণরঙ্গিভূমির সমীপবৰ্ত্তী ক্ষুদ্র স্রোতস্বিনী রক্তরাগে রঞ্জিত হইয়া গেল। রামরায়ের কনিষ্ঠ ভ্রাতা বেঙ্কটাদ্রি যথাৰ্থ বারের ন্যায় মাতৃভূমির জন্য যুদ্ধ করিতে করিতে তুচ্ছ প্ৰাণ বিসৰ্জন করেন। যুদ্ধান্তে বিজয়নগরের বহু যুদ্ধবিজয়ী শূত্নগণের মধ্যে এক তিরুমলাই অবশিষ্ট ছিলেন, কিন্তু বীরভ্রাতৃগণের বিরহে ও জন্মভূমির দুৰ্গতিদর্শনে তঁহার জীবন ভারভূত বোধ হইতে লাগিল। আবার তিনি যখন শুনিলেন, হুসেন নিজামশাহ স্বহস্তেই তঁহার নবতিপর বৃদ্ধ ভ্ৰাতা রামরায়ের মন্তক ছেদন করিয়াছিলেন এবং এই নিতান্ত কাপুরুষোচিত কাৰ্য্য সম্পাদনের সময় বলিয়াছিলেন, “তোমার উপর আমার প্রতিশোধ লওয়া হইল, আমার প্রতি ঈশ্বরের যাহা অভিপ্রেত, তাহাই সম্পন্ন হউক,”-তখন তাঁহার হৃদয় কিরূপে আমূল আলোড়িত ও শোকের অন্ধুণ তাড়নে বিক্ষোভিত হইয়া যায়, তাহা সহজেই অনুমেয়। তাহদের অন্যতম শত্ৰু আদিল শাহ পৰ্য্যন্ত