পাতা:ঐতিহাসিক চিত্র (চতুর্থ বর্ষ) - নিখিলনাথ রায়.pdf/৩৯২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ইংরাজের পেরিমা অধিকার। ব্লকম্যান সাহেবের ভূগোলপ্ৰসাদে আমরা ছেলেবেলা হইতেই "এডেন ইন, আরোবিয়া” “পেরিম-ইন-রেড-সি” প্ৰভৃতি ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র বৃটিশ ভূমিসম্পত্তির সহিত পরিচিত। পেরিাম লোহিতসাগরবক্ষে একটি অতি ক্ষুদ্র দ্বীপ; কিন্তু দ্বীপটি আকারে ক্ষুদ্র হইলেও ইতিহাস-পৃষ্ঠায় বহুদিন হইতেই ইঙ্গার নামোল্লেখ আছে। ১৮৫৭ খ্ৰীষ্টাব্দে ইংরাজের এই ক্ষুদ্র দ্বীপে একটি আলোকমঞ্চ নিৰ্ম্মাণ করিয়া তথায় ক্ষুদ্র এক সৈন্যদল স্থাপন করিয়াছেন, তৎপূৰ্ব্বে ইহা কোন জাতি কর্তৃকই স্থায়িভাবে আধুষিত বা অধিকৃত হয় নাই । ভারতের অস্থিমজ্জা শোষণ করিয়া যে সমস্ত ইয়ুরোপীয় জাতি বৰ্ত্তমানে ধরাকে সারা জ্ঞান করিতেছে, তন্মধ্যে পর্তুগীজেরাই সৰ্ব্বপ্রথম বাণিজ্য ব্যপদেশে পূৰ্ব্বদিকে আইসে। আলবুকার্ক নামক এই পর্তুগীজ জাতীয় একজন নাবিক ১৫১৩ খ্ৰীষ্টাব্দে পেরিমে উপস্থিত হয়েন— তিনি দ্বীপের একটি উচ্চ শৈলশিখরে একটি “ক্রশ” স্থাপন করিয়া যান। ঈহাই পেরিম-বিক্ষে মনুষ্য হস্ত-নিৰ্ম্মিত সকৰ প্ৰথম চিহ্ন । অষ্টাদশ শতাব্দীর শেষভাগে অস্তুতকৰ্ম্ম পুরুষসিংহ নেপোলিয়ান যখন মিসর পথে ভারত আক্রমণের উদ্যোগ আয়োজন করিতেছিলেন । তখনই ইংরাজ "ইষ্ট ইণ্ডিয়া কোম্পানী” সর্বপ্রথম কিছুদিনের জন্য এই দ্বীপ অধিকার করেন। চতুর ইংরাজ বর্তমানে পৃথিবীর একচতুর্থাংশের অধিস্বামী, কিন্তু ইহার অধিকাংশ স্থান অধিকার করিতে র্তাহারা যে ছলে ও চাতুরীপান প্ৰকাশ করিয়াছিলেন-বলা বাহুল্য, অতি ক্ষুদ্র পেরিাম অধিকার-সময়েও তাহারা সেই নীতিরই অনুসরণ করিতে কিছুমাত্ৰ দ্বিধা বোধ করেন নাই।