পাতা:ঐতিহাসিক চিত্র (চতুর্থ বর্ষ) - নিখিলনাথ রায়.pdf/৬৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Y(s) o पेठिङ्iनिक फ्रिी । সব দেখিয়া গুরুমাতা গুজরী বড়ই চিন্তিত হইলেন। তঁহার অতি সাধের পৌত্রদিগকে তিনি কি করিয়া বঁাচাইবেন, এই চিন্তায় তিনি ব্যতিব্যস্ত হইয়া উঠিলেন। শেষে অনেক চিন্তার পর একটি সৰ্ব্বনাশকর পন্থার আবিষ্কার করিলেন। তিনি গুপ্তভাবে অবরোধকারী রাজাদের নিকট · প্রার্থনা করিলেন যে, তাহাকে দুর্গ ছাড়িয়া যাইতে দেওয়া হউক । SgDg ggg DDDYSS KKS S SDBBtB DDBS BB BBDB DDBD সিংহ ও জেরেবার সিংহকে লইয়া গুপ্তভাবে দুর্গ ত্যাগ করিয়া; পলাইলেন। সঙ্গে চলিল গঙ্গু নামক পাচক । গঙ্গু ব্ৰাহ্মণ-সন্তান। কিন্তু ব্ৰাহ্মণোচিত কোন গুণই তাহাতে বিদ্যমান ছিল না । সে নিকৃষ্ট শূদ্র প্রকৃতিক ছিল। অর্থ লিপিসায় তাহার হিতাহিত জ্ঞান একেবারেই লোপ পাইয়াড়ি, ল । অর্থের বিনিময়ে সে সকল পাপাই করিতে পারিতি। তাহার এই অর্থ-লিপসাই তাহাকে অত্যন্ত হেয় করিয়াছে। সরহিন্দে গঙ্গুর নিবাস। গুরুমাতা তাহার সহিত সরহিন্দে উপস্থিত হইলে সে পরম সমাদরে তাহাকে স্বীয় কুটীরে লইয়া গেল। গুজরীও পরমানন্দে তাহার আতিথেয়তা স্বীকার করিলেন। ব্ৰাহ্মণ তাহাকে বসিবার জন্য মাদুর বিছাইয়া দিল । পথশ্ৰান্ত বালকদ্বয় অচিরেই সেই মাদুরেই নিদ্রিত হইয়া পড়িলেন । যাহারা বিলাসের ক্ৰোড়ে ললিত পালিত হইতেছিলেন, র্যাহাঁদের সেবার জন্য নিত্য শত শর্ত দাস দাসী নিযুক্ত ছিল, আজ তাহারা নিতান্ত অসহায় অবস্থায় শয্যাহীন সামান্য মাদুরেই অকাতরে নিদ্রা যাইতেছেন। গুরুমাতা গুজরীর চক্ষে কিন্তু নিদ্রা নাই। দুর্ভাবনায় তাহার হৃদয় ভারাক্রান্ত। পুত্ৰকে তিনি যেরূপ অবস্থায় রাখিয়া আসিয়াছেন, তাহা কতই ভীষণ । গোবিন্দের মুখদর্শন আর তঁহার ভাগ্যে ঘটিবে কিনা কে জানে ! ভাবিতে ভাবিতে গুজরী পৌত্রদিগকে কোলে টানিয়া লইলেন । পথে অর্থের নানা প্রয়োজন। এই ভাবিয়া গুজরী একটী পিত্তলের.