পাতা:ঐতিহাসিক চিত্র (চতুর্থ বর্ষ) - নিখিলনাথ রায়.pdf/৭৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ঐতিহাসিক, fs 9\و) শোভিত করিয়াছ। কত রমণী তঁহার সতীত্ব রক্ষার জন্য তোমাদিগকে অভিশাপ দিতে দিতে উদ্বন্ধনে দেহ ত্যাগ করিয়াছেন। তোমরা রক্ষক হইয়া প্রজাদের ধনসম্পত্তি অপহরণ করা। তোমাদের অসির প্রভাবে কাহারও জীবন নিরাপদ নাহে । আমাদের পিতা তোমাদের এই সব রাক্ষসীজনোচিত ব্যবহারের শাস্তি দিয়া ধৰ্ম্মভাবে জগৎ প্লাবিত করিবার জন্য ঈশ্বর কর্তৃক প্রেরিত হইয়াছেন । তোমাদের এ পাপের জন্য শীঘ্রই তোমাদের অনুশোচনা উপস্থিত হইবে । তোমরা পরকে যে সমস্ত কষ্ট দিয়াছ, সেই সমস্ত কষ্ট তোমাদের জন্য সঞ্চিত রহিয়াছে। যখন আর রক্ষার উপায় থাকিবে না, তখনই তোমাদের হৃদয় অনুশোচনায় দগ্ধ হইবে। কিন্তু তখন সে অনুশোচনা বৃথা হণ্ঠৰে । সময় সময় কত রাজ্য হইয়াছে ও পড়িয়াছে। তোমাদের রাজাও সেইরূপ ক্ষণস্থায়ী । তোমাদের সিংহাসন বাদুড়, পেচক ও পারাবিতের ক্রীড়া-নিকেতন হইবে । তোমাদের দুর্গ, প্ৰাসাদ ও ক্ষমতা পরে কেবল উপকথামাত্ৰ হইয়া দাড়াইবেতখন অনেকেই তোমাদের উদ্দেশে বিক্ৰপাগ্নি বর্ষণ করিবে, অতি অল্প লোকেই তোমাদের দুঃখে সমবেদন জানাইবে । তোমরা ক্ষমতা-গর্বে মত্ত হইয়া অদূরবত্তী মৃত্যুর বিভীষিকা দেখিতে পাইতেছি না, তাহা মনোরম সাজে সজ্জিত হইয়া তোমাদের দৃষ্টিভ্রান্তি ঘটাইতেছে। নবাব’! তুমি আমাদিগকে যে সব সুখস্বাচ্ছন্দ্যের অাশা দিতেছি, তাহা অতীব ক্ষণস্থায়ী । মানসিক অশান্তি, শারীরিক রোগ ও মৃত্যুর সঙ্গে সঙ্গে তাহা একেবারেই লোপ পাইবে। যদি কখন মৃত্যু না হইত, তবে আমরা তোমার প্রস্তাবে সম্মত হইতাম। যখন একদিন মরিতেই হইবে, তখন সেই ক্ষণিক সুখসম্ভোগে লাভ কি ! তোমার অসির আঘাতে মৃত্যু অথবা রোগের করাল গ্ৰাসে মৃত্যু-একই কথা । যে ধৰ্ম্ম-বিশ্বাস এই জীবন অপেক্ষা ও মূল্যবান তাহা আত্মরক্ষার্থে কলঙ্কিত হইতে পারে না । তুমি সেই পবিত্র বিশ্বাস ত্যাগ করিতে বলিতেছ। যখন সকলেই জানে, মৃত্যু অনিবাৰ্য্য, তখন কেন যে লোকে জীবনকে মূল্যবান মনে করে ও তাহ রক্ষার জন্য অন্যায়