পাতা:ঐতিহাসিক চিত্র (চতুর্থ বর্ষ) - নিখিলনাথ রায়.pdf/৭৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

sty ঐতিহাসিক চিত্ৰ । মাত্মার কল্যাণ সাধন করেন। তঁহার নিকট সয়তান, মার বা কন্দৰ্প প্ৰতিহত । তিনি জগতের আদর্শ পুরুষ । আমাদের এই বালকদ্বয় শিখ গুরুগণের ধৰ্ম্মপ্ৰাণত উত্তরাধিকার-সুত্রে লাভ করিয়াছেন। তঁহার আজন্ম সন্ন্যাসী ; ধৰ্ম্ম-তৃষ্ণ তঁাহারা জন্মের সঙ্গে সঙ্গে লাভ করিয়াছেন । বালক হইলেও দৈহিক সুখ সম্পদের প্রলোভন দেখাইয়া তাহাদিগকে মুগ্ধ २द्र निडांस्ठ अश्8 द शों नcश् । বালকের তেজো গর্ভ বাক্যে নবাবের ক্রোধাগ্নি জ্বলিয়া উঠিল ! তিনি কঠোর স্বরে উত্তর, করিলেন- “চুপ রাও বদমায়েস ছেলে ; দয়া করিয়া আমি তোদেরঃসািহত এরূপ ভদ্র ব্যবহার করিয়াছিলাম। আমার ক্ষমতা সম্বন্ধে তোদের দেখিতেছি, কোনই ধারণা নাই । তোদের পিতা কাফের । তোরা বলিস যে, তোরা মৃত্যুর ভয় রাখিস না। তোদের বয়সের ছেলেরা সামান্য কণ্টকাঘাতে তীব্র চিৎকার করিয়া উঠে, আর তোরা অসির আঘাত এতই নগণ্য মনে করিস। হয় মুসলমান হ’, নয় মর। ইহাই আমার শেষাজ্ঞা । যাহা ইচ্ছা বল ।” এইবার বালক জোরবার সিংহ তীব্র স্বরে উত্তর করিলেন-‘নবাব । যতবার ইচ্ছা আমাদিগকে অসির আঘাত কর, আমরা কখনই কঁদিব না। আমরা মৃত্যুর ভয় রাখি না। আমাদের ফাসি দাও, অথবা গায়েয় চামড়া খুলিয়া লাও-যাহা ইচ্ছা কর । আমরা শ্ৰী অকাল পুরুষের আশীৰ্ব্বাদে তোমার সকল শাস্তিকেই সামান্য জ্ঞান করি । যেরূপে ইচ্ছা! আমাদের হত্যা কর। কিন্তু আমাদের সম্মুখে আমাদের মহানুভব পিতার কখনও নিন্দা করিও না । শীঘ্ৰ তোমার শেষাজ্ঞা প্ৰতিপালন করে ; আমরা তোমার ঘুণিত সঙ্গ হইতে মুক্তি পাই । যে দেশে তোমাদের রাজত্ব, সে দেশে বঁচিয়া থাকা বৃথা । আমরা সেই সৰ্ব্বানন্দময় পরমেশ্বরের সহিত মিলিত হইব - দাও তুমি শাস্তি দাও।” ক্ৰোধে নবাবের কাণ্ডাকাণ্ড জ্ঞান রহিত হইল। তিনি দুইজন পাঠানকে আহবান করিয়া বলিলেন- “এই শিশুবয়কে তোমাদিগকে দিলাম।