পাতা:ঐতিহাসিক চিত্র (চতুর্থ বর্ষ) - নিখিলনাথ রায়.pdf/৮৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Ve वैङिश्ानिक fष्यः । ছিল । ১২৬৩ হিজরীর ( ১৮৪৬ খৃঃ অঃ) সমকালে সমাধিগুলি প্রাচীর সহ বিনষ্ট হয় ; এখন বহুকষ্টেও উহাদের নিদর্শন বাহির করা ভার। এই সুপ্ৰসিদ্ধ বাংলা কোটি উহার নানারূপ বাগ বাগিচা সহ বহু প্ৰাচীনকাল হইতে মহাঁদিপুর নিবাসী মীর দোমনের বংশধরগণের অধিকারে আছে ; তাহারা নাকি হোসেন সাহের বংশধর বলিয়া প্ৰকাশ করিয়া থাকে । মীর এবং তদীয় পুত্ৰগণ সমাধিগাত্রের লিপি, খোদিত প্ৰস্তর এবং চিত্ৰিত ইষ্টক নিচয় খনন করিয়া বাহির করতঃ অন্যত্ৰ বিক্ৰয় করিয়া নিজেদের নীচাশয়তার পরাকাষ্ঠ প্ৰদৰ্শন করিয়া গিয়াছেন - “অসৎ পুত্র অপেক্ষা একটী সৎকন্যা শ্রেষ্ঠ ।” ১২৮১ হিঃ ( ১৮৬৩ খৃঃ ) ইলাহি বক্স মীরদমনের পৌত্র মীরহান্সার নিকট, ১০৭০ হিজরীর ( ১৬৫৯ খৃ: ) নবাব মৌজাম খাঁর দস্তখতি বাংলা কোটি গ্রামে ৫০ বিঘা নিষ্কার-ভূমিদানের সনন্দ দেখিয়াছিলেন । সম্রাট ঔরঙ্গজেবের আজ্ঞায় গৌড়ের নরপতিবৃন্দের সমাধিমন্দির আলোকিত করিবার উদ্দেশ্যে সৈয়দ সুলতানের পৌত্র সৈয়দ অমরিয়াকে সৰ্ব্বপ্রথমে এই ভূমি প্রদত্ত হয়। হোসেন শাহের সমাধির উত্তরে-বাংলাকোট গ্রাম মধ্যে একটী স্থান নির্দেশ করিয়া, মীরহান্স বলিয়া থাকেন যে, ঐ স্থানে প্ৰায় শতাধিক গৌড় নরপতি ও তাহদের আত্মীয় স্বজনের সমাধি রহিয়াছে। এই সকল সমাধির অধিকাংশই এখন ভগ্নদশায় উপনীত ; কেবল স্থানে স্থানে কবরের গৰ্ত্ত দেখিতে পাওয়া যায় । hhh মিনার। খাদেম। রসুলের উত্তর-পূর্বে প্রায় ২৫ রাশি, দুর্গের বহির্ভাগে বাংলাকোটের বিপরীতদিকে “মিনার” অবস্থিত। ইহার নিকটবৰ্ত্তী স্থানকে পীর ( ১ ) আসামন্দিরও বলা হইয়া থাকে। আবিসিনিয়ান সুলতান ফিরোজ ( ১ ) ইলাহিবাক্স ভুলক্রমে ইহাকে ‘তীর আসামন্দির, লিখিয়াছেন।