পাতা:ঐতিহাসিক চিত্র (চতুর্থ বর্ষ) - নিখিলনাথ রায়.pdf/৯৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

कब्लTgश्ड्री। ( t ) আজ গৌড় নগরে মহাসমারোহ। বিশাল রাজপথের মধ্যে মধ্যে কৃত্রিম তোরণসমূহ পত্ৰপুষ্পে ভূষিত হইয়া যেন কাহার আগমন প্ৰতীক্ষা করিতেছে। তোরণের সম্মুখে কদলীবৃক্ষ ও পূর্ণকুম্ভ মঙ্গল্য চিহ্ন স্বরূপ অবস্থিত রহিয়াছে। তোরণের উপরিভাগ হইতে নানা রাগরাগিণীযুক্ত সুমধুর বাদ্যধ্বনি তরঙ্গায়িত হইয়া সুদূর দিগন্ত-ক্ৰোড়ে মিলিয়া যাইতেছে। মধ্যে মধ্যে পুরনারীগণের শঙ্খধ্বনি ও হুলুধ্বনি আনন্দতরঙ্গ তুলিতেছে। তোরণশীর্ষে নানা বর্ণের মঙ্গল পতাকা হেলিয়া দুলিয়া নাচিতেছে। রাজপথে লোক জন প্ৰতিনিয়ত ছুটাছুটি করিতেছে। ভারে ভারে নানাবিধ দ্রব্যসামগ্ৰী লইয়া বাহকগণ চলিয়া যাইতেছে। স্থানে স্থানে প্ৰহারিগণ সুন্দর বেশভূষায় সজ্জিত হইয়া শ্রেণীবদ্ধ হইয়া দাড়াইয়া আছে। কাহারও বা। হস্তে কাহারও বা স্কন্ধে স্বর্ণ ও রৌপ্য-নিৰ্ম্মিত দণ্ডাদি শোভা পাইতেছে। সমস্ত নগর যেন মহোৎসবে মগ্ন বলিয়া বোধ হইতেছে। রাজ-প্ৰাসাদে উৎসবের ঘটা অধিক পরিমাণেই বিদ্যমান। স্বাভাবিক ও কৃত্রিম উভয়বিধ পত্রপুষ্পে প্ৰাসাদ সজ্জিত হইয়াছে। নানা পতাকা তাহাকে সুশোভিত করিয়াছে । প্ৰাসাদের অভ্যন্তরে কারুকাৰ্য্যযুক্ত বিশাল চন্দ্ৰাতপ নীলাকাশকে আচ্ছাদিত করিয়াও তাহার প্রতিমূৰ্ত্তি বলিয়া ভ্ৰম জন্মাইতেছে। নানা প্রকারের বাক্যে প্ৰাসাদ প্ৰতিনিয়ত ধ্বনিত হইতেছে। শঙ্খধ্বনি ও হুলুধ্বনির বিরাম নাই। নানাপ্রকার মাঙ্গল্য চিহ্ন ধারণ করিয়া প্ৰাসাদ পবিত্রতার প্রতিমূৰ্ত্তিরূপে প্ৰতীতি হইতেছে। প্ৰাসাদ-তোরণ হইতে অন্তঃপুর পর্য্যন্ত সর্বত্রই মাঙ্গল্য চিহ্ন