পাতা:ঐতিহাসিক চিত্র (প্রথম বর্ষ) - নিখিলনাথ রায়.pdf/১০১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

जांभांकि ॐजत्र । 86 রচ সাহেবের সহিত তথায় গমন করিয়া অনেক বিষয় আবিষ্কার করিয়াছেন। তন্মধ্যে ২৪ ফুট মৃত্তিকার নীচে প্রোথিত একটি প্রস্তরগৃহ হইতে ৭ শত মৃন্মোহরই উল্লেখযোগ্য। তন্মধ্যে অধিকাংশ মোহরই গুপ্ত সম্রাটগণের বলিয়া স্থির হইয়াছে। রাখাল বাবু তাহদের মধ্যে কোন কোনটীর ছায়াচিত্ৰও প্ৰদৰ্শন করিয়াছিলেন। শ্ৰীযুক্ত সতীশচন্দ্র বিদ্যাভূষণ মহাশয় বলেন যে, বৈশালীর স্থাননির্ণয় সম্বন্ধে অনেক মত আছে, উজ্জয়িনী, প্ৰয়াগ প্রভৃতি এ ককালে বৈশালী বলিয়া কথিত হইত। কিন্তু তিনি কনিংহামের বেসাড়কেই বৈশালী বলিতে চাহেন। তিনি উক্ত মুন্মোহরগুলির মৌলিকতায় সন্দেহ করিয়াছিলেন। শ্ৰীযুক্ত পঞ্চানন বন্দ্যোপাধ্যায় মহাশয় বলেন যে, বুদ্ধদেবের উক্তি-অনুসারে হরিদ্বারের নিকটস্থ বিশাল বদরীকে বৈশালী বুঝায়, বেসাড়কে বুঝায় না। বিশ্বকোষসম্পাদক শ্ৰীযুক্ত নগেন্দ্ৰনাথ বসুও বেসাড়ের সম্বন্ধে সন্দিহান হইয়াছিলেন। তিনি বলেন যে, হিউয়েন সিয়াঙ্গের বর্ণনানুসারে বৈশালীতে হিন্দু ও জৈনগণেরও অনেক চিকু ছিল, কিন্তু বেসাড়ে তাহা দৃষ্ট হয় না। কিন্তু তিনি মুন্মোহরগুলির প্রতি সন্দেহ করেন নাই। রাখালদাস বাবু প্ৰত্যুত্তর দিয়াছিলেন যে, ২৪ ফুট মৃত্তিকার নিয়ে প্রস্তরগৃহ হইতে যে সকল মোহর তাহদের চক্ষের সমক্ষে আবিষ্কৃত হইয়াছে, তাহাতে সন্দেহ করার কারণ থাকিতে পারে না। তিনি হিউয়েন সিয়াঙ্গের বর্ণনানুযায়ী পাটলীপুত্র বা হাজীপুর হইতে বৈশালী বা বেসাড়ের দূরত্বের ও অশোকন্তু প ও স্তস্তাদির অবস্থানের ঐক্য প্ৰদৰ্শন করিয়া বেসাড়কেই বৈশালী বলিয়া স্থির করিয়াছিলেন। সে দিবস পূজ্যপাদ পণ্ডিত কালীবর বেদান্তবাগীশ মহাশয় সভাপতির আসন গ্ৰহণ করেন। • তিনি বলিয়াছিলেন যে, স্বৰ্গীয় ডাক্তার : রামদাস সেনের সহিত বৌদ্ধ গ্ৰন্থাদি আলোচনা করিয়া তিনি মহাবস্তু অবদান প্রভূত হইতে যেরূপ অবগত হইয়াছেন, তাহাতে পঞ্চানন বাবুর নির্দিষ্ট বিশালা বন্দরীই বৈশালী বলিয়া স্থির হয়। আমরা বলি, বৈশালীর স্থাননির্ণয় সম্বন্ধে আরও আলোচনা হওয়ার প্রয়োজন। যদিও কনিংহাম প্রভৃতি হিউয়েন। সিয়াঙ্গের বর্ণানুসারে, বেসাড়কেই বৈশালী স্থির করিতে চেষ্টা করিয়াছেন, ...