ব্ৰাহ্মণ-সৰ্ব্বস্ব। Vet এক সংক্ষিপ্ত বৃত্তি রচনা করিতে আদেশ করেন। তাঁহাই “লঘুবৃত্তি” নামে । পরিচিত হইয়া, অদ্যাপি বরেন্দ্রদেশে অধীত ও অধ্যাপিত হইত। হলায়ুধ বেদমন্ত্রের সে সকল ব্যাখ্যা “ব্ৰাহ্মণ-সর্বম্বে” লিপিবদ্ধ করিয়া গিয়াছেন, তাহাতে বুৎপত্তিনিৰ্দেশাৰ্থ পাণিনি-সুত্ৰই উল্লিখিত হইয়াছে। তিনি যে বৈদিক সুত্ৰে সমধিক বুৎপত্তিলাভ করিয়াছিলো, এই সকল ব্যাখ্যাই তাহার বিশিষ্ট প্ৰমাণ। হলায়ুধের আত্মপরিচয় হইলেও, তিনি যজুৰ্বেদী ব্রাহ্মণ ছিলেন বলিয়া বুঝিতে পারা যায়। ‘ব্রাহ্মণ-সৰ্ব্বস্ব।” যজুৰ্বেদী ব্ৰাহ্মণগণেরই নিত্য নৈমিত্তিক ক্রিয়া কলাপের মন্ত্রব্যাখ্যার সুপরিচিত গ্ৰন্থ। এই কারণেও হলায়ুধকে রাঢ়ীয় ব্ৰাহ্মণ বলিয়া পরিচিত করিবার পক্ষে প্ৰবল বাধা উপস্থিত হয়। যাহা হউক, তিনি যে ভট্টনারায়ণ-বংশীয় ঠাকুর-উপাধিধারী পাথুরিয়াঘাটার স্বনামখ্যাত মহারাজ শ্ৰীস্তার যতীন্দ্রমোহনের পূর্বপুরুষ হইতে । পারেন না, তাহাতে বিশেষ সন্দেহের কারণ নাই । ভারতবর্ষের ইতিহাস আলোচনায় নিযুক্ত হইয়া, পাশ্চাত্য অধ্যাপক বৰ্গ “পুরুষ-সুক্তের” সমালোচনাচ্ছলে লিখিয়া গিয়াছেন,-হিন্দুধৰ্ম্ম ক্ৰমে ক্রমে একেশ্বরবাদ হইতে কিরূপে স্বলিত হইয়া পড়িয়াছিল ; এবং কিরূপেই বা উত্তরকালে জাতিভেদের সুদৃঢ় বন্ধনে আবদ্ধ হইয়া, ভারতবর্ষ সুদীর্ঘকাল বন্ধন যাতনা সহ্য করিতেছে, তাহ “পুরুষ, সুক্তে” বিশদীকৃত হইতে পারে।*। এই পাশ্চাত্য সিদ্ধান্ত কণ্ঠস্থ করিয়া, ইংরাজভক্ত সুশিক্ষিত ভারতবাসী অনেক সময়ে স্বদেশের ঐতিহাসিক প্ৰবন্ধ রচনায় হস্তক্ষেপ করিতেছেন। তজ্জন্য “পুরুষসুক্তের” হলায়ুধ কৃত সংস্কৃত-ব্যাখ্যা ও পাশ্চাত্য বিবিধ অধ্যাপকের ইংরাজী ব্যাখ্যা তুলনায় সমালোচনা করা আবশ্যক। দৃষ্টান্তস্থলে প্রখম “কাণ্ডিকা”, মাত্রই উদ্ধৃত করিব।
- It will serve to illustrate the gradual sliding of Hindu monotheism into pantheism, and the first fore-shadowing of the institution
of Caste, which for so many centuries has held India in bondageIndian Wisdom, P. 34.