পাতা:ঐতিহাসিক চিত্র (প্রথম বর্ষ) - নিখিলনাথ রায়.pdf/১৮৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

› ዓ8 ঐতিহাসিক চিত্ৰ । মুর্শিদাবাদের সিংহাসনে উপবিষ্ট আছেন, সেই প্ৰসাদের লাঘব না করিলে আমার প্রতি যথেষ্ট অনুগ্রহ প্ৰদৰ্শন করা হইবে।” বাদশাহ জগৎশেঠের এই কৃতজ্ঞতা ও ঔদাৰ্য্যময় উত্তরে যারপর নাই সন্তুষ্ট হইয়া নবাব মুর্শিদকুলী খাকে ক্ষমা করিয়া এইরূপ সম্মান বা আদেশ-পত্র প্রচার করিলেন যে, এক মাত্র ফতে চাঁদের আবেদনে মুর্শিদাবাদের নবাব বাদশাহের অনুগ্রহ লাভে সক্ষম হইলেন। অতঃপর বাঙ্গালার রাজত্ব সম্বন্ধে নবাব জগৎশেঠের সহিত পরামর্শ করিয়া সমস্ত কাৰ্য্য করিবেন । নবাব মুর্শিদকুলী ফতোৰ্চাদের এইরূপ ব্যবহারে যে কতদূর সন্তুষ্ট হইয়াছিলেন, তাহা বোধ হয় বলিবার আবশ্যক হইবে না। তিনি পূর্ব তহঁতেই ফতেচাঁদের পরামর্শানুসারে অনেক কাৰ্য্য করিতেন, এক্ষণে বাদশাহের আদেশ পাইয়া রাজ্যশাসন বিষয়ে সকল সময়েই জগৎশেঠের পরামর্শ গ্ৰহণ করিতে লাগিলেন। বাদশাহের দরবারে ও নবাব সরকারে শেঠদিগের এইরূপ প্ৰতিপত্তি হওয়ায়, বাঙ্গালার সমস্ত লোক তঁহাদিগকে গৌরবের চক্ষে দেখিতে লাগিল। মুর্শিদাবাদের নবাবদিগের পরই শেঠেরা সম্মানে সর্বশ্রেষ্ঠ হইয়া উঠিলেন। উক্ত আদেশ পত্র প্রচারের পর বাদশাহ দরবার হইতে জগৎশেঠ সম্মানের চিহ্নস্বরূপ পোষাক পরিচ্ছদাদি পাইতে লাগিলেন। দিল্লী হইতে বাঙ্গালার নাজিমের ন্যায়। জগৎশেঠেরাও এক একটা খেলাত উপহায় প্রাপ্ত হইতেন । নবাব মুর্শিদকুলী যত দিন জীবিত ছিলেন তত দিনই ফতেচাদের পরামর্শানুসারে। কাৰ্য্য করিয়াছিলেন। ১৭২৫ খৃঃ অব্দে তাহার মৃত্যু হয়। তিনি মৃত্যুর পূর্বে র্তাহার মনোনীত উত্তরাধিকারী দৌহিত্র সরফরজকে ফতেচাঁদের পরামর্শানুসারে। কাৰ্য্য করিতে উপদেশ দিয়াছিলেন। মুর্শিদকুলী খার মৃত্যুর পর সরফরাজ নবাব হইতে পারেন নাই। মুর্শিদকুলীর জামাতা ও সরফরাজের পিতা সুজাউদ্দীন মুর্শিদাবাদের সিংহাসনে উপবিষ্ট হন। সুজাউদ্দীন মহাম্মদ খাঁ মুর্শিদকুলী খাঁর সময়ে উড়িষ্যার শাসনকৰ্ত্তার পদে প্রতিষ্ঠিত ছিলেন। মুর্শিদকুলী জামাতার প্রতি সন্তুষ্ট ছিলেন না, তঁাহার কন্যা স্বামীর নিকট না থাকিয়া পিতার নিকটেই থাকিতেন। রাজনৈতিক অনেক