পাতা:ঐতিহাসিক চিত্র (প্রথম বর্ষ) - নিখিলনাথ রায়.pdf/১৯১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

t জগৎশেঠ। እ ዓ እ» আলিবর্দীকে পাটনায় পাঠাইয়া দেন। আলিবর্দীর গমনের পর ফতোর্চাদ প্রভৃতির প্রতি রাজ্যশাসনের ভার আরও গুরুতররূপে নিপতিত হয়। ফতে চাদ মন্ত্রিসভায় থাকিয়া যেরূপ রাজ্যশাসন কাৰ্য্য পরিচালনা করিতেছিলেন, সেইরূপ তাহার নিজের গদীর প্রতি যত্বেরও ক্রটি ছিল না। রাজ্যশাসনের সহিত ঘনিষ্ঠ সম্বন্ধ থাকায় সকল শ্রেণী:গ্নি লোকের সহিত তাহার গদীর সম্বন্ধ স্থাপিত হয়। রাজা, জমীদার ও অন্যান্য ভূম্যধিকারিদের ত কথাই নাই, ব্যবসায়ী, মহাজন, সকলেই পূর্বে যেমন মহিমাপুরের গদী হইতে অর্থাদি গ্ৰহণ করি: গুন, এখনও সেইরূপ ভাবেই কারবার চলিতে লাগিল। এই সময় ইংরাজ, ফরাসি, ওলন্দাজ, ও অন্যান্য ইউরোপীয়দিগের বাণিজ্য দিন দিন উন্নতি লাভ করিতে লাগিল। কলিকাতা, চন্দননগর, চুচুড়া প্রভৃতি ইউরোপীয়দিগের প্রধান প্ৰধান স্থান, দিন দিন শ্ৰীবৃদ্ধিশালী হইয়া উঠিতেছিল। সেই সকল । স্থানের ব্যবসায়িগণ জগৎশেঠের সহিত কারবারসূত্রে আবদ্ধ ছিলেন, যেমন যেমন সেই সমস্ত স্থানের উন্নতি হইতে লাগিল, জগৎশেঠগণও দিন দিন সেই রূপ ধনকুবের হইয়া উঠিতে লাগিলেন। জগৎশেঠ ফতে চাদের এইরূপ উন্নতির সময় ১৭৯৩ অব্দে নবাব সুজাউদ্দীন পরলোক গমন করেন। সুজাউদ্দীনের মৃত্যুর পর সরফরাজ মুর্শিদাবাদের সিংহাসনে উপবিষ্ট হন। যদিও তঁহার পিতা মৃত্যুকালে সরফরাজকে জগৎশেঠ প্রভৃতির পরামর্শানুসারে সমস্ত কাৰ্য্য করিবার উপদেশ দিয়া যান, কিন্তু তিনি অধিক দিন পিতার সে উপদেশ পালন করেন। নাই, জগৎশেঠ প্ৰভৃতির সহিত মনোমালিন্য ঘটাতেই তঁহার অধঃপতনের সূত্রপাত হয়। আমরা পর অধ্যায়ে তাহার বিস্তৃত বিবরণ প্ৰদান কৱিৰ।