পাতা:ঐতিহাসিক চিত্র (প্রথম বর্ষ) - নিখিলনাথ রায়.pdf/১৯৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ঐতিহাসিক সত্য বা ইতিহাসের শিক্ষা । > ケ> ফেনায়মান বিশ্ববাস্পে সৃষ্টি বুদ্ধদের আবির্ভাব হইলেও এখনও সেই অজ্ঞেয় তত্ত্ব পরিছিন্ন মনুষ্যবুদ্ধির অজ্ঞাত রহিয়াছে। সুতরাং অল্পশ্রুতি আমি অকুষ্ঠিতচিত্তে বলিতে পারি মানবজাতির উন্নতির ভিত্তিশিলাই কেবল পরিবত্ত ও বিবৰ্ত্তে निश्डि5 । বৈজ্ঞানিক মতে জড় জীবের জ্যেষ্ঠ। ইতঃপূর্বে প্রতীচ্য বিজ্ঞানে জড় ও জীবের বিভাগ নির্দিষ্ট গভীরেখায় সীমাবদ্ধ ছিল। ভগবদ্ভক্ত বিশ্বপ্ৰাণ আৰ্য্যঋষি অলৌকিক দৃষ্টিতে ব্ৰহ্মাণ্ডের সৰ্ব্বত্রই প্ৰাণ প্রবাহের মধুরলীলা দেখিতে, পাইতেন। বঙ্গের অধ্যাপক জগদীশচন্দ্ৰ প্ৰত্যক্ষ পরীক্ষায় “প্ৰাণের পরিধি” প্রসারিত করিয়া প্ৰতীচ্য পণ্ডিতগণের মুগ্ধ দৃষ্টি আকৃষ্ট করিয়াছেন। জড়ের ব্যাপ্তি মন্দীভূত হইতেছে। প্ৰাণ পরিধির স্পর্ণরেখা এক্ষণে কোথায় বিশ্রামলাভ করিবে তাহ কে বলিতে পারে। যাহা হউক তথা কথিত জড়িজগতে পরিবর্তী প্রবাহের বিরাম নাই। অদ্রির তুঙ্গ শৃঙ্গে, সমুদ্রের ফেনিল তরঙ্গে, অটবীর । অভ্যন্তরে, বসুন্ধরার স্তরে স্তরে পরিবর্তের প্রবাল প্রবাহ প্ৰধাবিত। পঞ্চভূতের বিরাট তাণ্ডবে পৃথিবী প্ৰকম্বিত। বিজ্ঞান পঞ্চভূতিকে পঞ্চদশ গুণ প্ৰপঞ্চিত করিয়াছেন-কিন্তু ভৌতিক বিপ্লব ব্যাহত করিতে কাহারও সাধ্য আছে কি ? প্ৰকাণ্ড প্ৰকাণ্ড মহীরুহপূর্ণ দুর্ভেদ্য অরণ্যানী ভূস্তরে প্রোথিত থাকিয়া যুগ যুগান্তের পরে পুঞ্জীভূত প্রস্তরাঙ্গারে পরিণত হইতেছে, তরঙ্গচঞ্চল ফেনায়মান নীরনিধির মধ্যস্থলে দেখিতে দেখিতে কাননকুন্তলা বসুধার মনোমোহন দৃশ্য ফুটিয়া উঠিতেছে, সহস্ৰ সহস্ৰ সুবৰ্ণ সৌধমালিনী স্বর্ণ লঙ্কার সমৃদ্ধ রাজধানী অকস্মাৎ সমুদ্রগর্ভে প্রবেশ করিতেছে, অগ্নি শৈলের উন্মুক্ত ক্রীড়ার অগ্ন্যুদগমে কত লোকসংস্কুল নগরসমূহ প্রোথিত হইয়া যাইতেছে, মহাসমুদ্রের ভৈরব উচ্ছাসে শত শত বিলাসবৈভব সমৃদ্ধনগরভূষিত নাগজাতির লীলানিকেতন । পাতাল ভবনের ( আমেরিকার ) প্ৰাচীনতন সভ্যতা বিনাশের সহিত বিস্মৃতির অতল সলিলে নিমগ্ন হইয়াছে। কিন্তু তাহাতে মহা ভূতের কোন বিকার আছে কি ? সমুদ্র ও পৰ্ব্বত, পাবক ও পবন অক্ষুন্ন মহিমায় বিরাজ করিতেছেন। সপ্তপাতালের অন্যতম অতল সমীপবৰ্ত্তিনী অতলান্তিক (আটলান্টিঙৰে )