ঐতিহাসিক সত্য বা ইতিহাসের শিক্ষা। ابادo সোপান মালায় জীবের মূৰ্ত্তি গ্ৰহণ করিতেছে। রেণুকণা হইতে হিরণ্যগৰ্ভ পৰ্য্যন্ত সৰ্ব্বত্রই প্ৰাণের প্রকাশ পরিলক্ষিত। জড় জগতে বিশ্ববিধানের কোন ব্যভিচার নাই। অগণ্য নক্ষত্ৰমণ্ডিত নিরন্দ্ৰ নীলাম্বর নিভ রঙ্গালয়ে সুৰ্য্য, চন্দ্ৰ, মঙ্গল, বুধ, বৃহস্পতি, শুক্র, শনি প্রভৃতি গ্ৰহ উপগ্ৰহগণ কত কোটিকল্প কল্পান্ত হইতে লীলা করিতেছেন। কিন্তু সেই লীলারঙ্গে কোন তালভঙ্গ নাই। পৃথিবীও সেই সনাতন বিশ্ববিধানের বশবৰ্ত্তিনী হই। অনন্ত অন্তরীক্ষে স্বীয় গণ্ডীবদ্ধ কক্ষায় কত কল্পকোটি কাল সূৰ্য্যকে প্ৰদক্ষিণ করিতেছেন, তাহা মনুষ্য অজ্ঞাত। সৌদামিনী সীমন্তিনী কাদম্বিনী চিরদিনই প্রেমের তরঙ্গে শৈলশৃঙ্গ আলিঙ্গন করিতেছে। এক দিন কল্পনা কৌতুকী আদি কবি সরোবারবিলাসিনী শতদলশোভিনী কমলিনীর সহিত দিনমণির বিবাহ দিয়াছিলেন,-চিরবিরহিণী কমলিনীর দুঃখে ভ্রমর গুঞ্জরণ আজিও নিবৃত্ত হইল না । জড় প্রকৃতির অনন্ত বৈচিত্র্যের মধ্যেও বিশ্ববিধান বা নিয়তির ঐক্য বিরাজমান। নববসন্তের প্রাথমিক উৎসবে চুতাম্বুরাস্বাদে কষায়কণ্ঠ পুংস্কোকিলের প্রেমোচ্ছাসপূর্ণ কুহু ধ্বনিতে বা নৈদাঘ নিশীথে সন্তপ্তহৃদয় পাপিয়ার বিলাপ।সঙ্গীতে কোন তালভঙ্গ বা স্ব বিকৃতি নাই । জীবজগতে ও বিধিবিধানের চিরন্তনী রীতি । বিদ্যমান। আৰ্য্য ঋষির তপোবনেই কেবল প্ৰকৃতির গতি পরাহত হইত। কিন্তু নিসর্গের উদ্যানে ভোক ভুজঙ্গ, অহি নকুল অথবা শশী শাৰ্দ্দলের স্বভাববৈরীতার কোন পরিবাৰ্ত্তই দৃষ্টি গোচর হয় না। নব শৈলযুগে বল্লা হরিণ কিম্বা গুহ ভালুকের যে প্রকৃতি ছিল, যুগযুগান্ত পরে আজিও তাঁহাদের সেই প্ৰকৃতিই বিদ্যমান আছে। সহস্ৰ শতাব্দীর পবিবৰ্ত্ত ও নৈসৰ্গিক বিপ্লবের ভয়াবহ আবৰ্ত্তে ও বল্প হরিণের প্রকৃতিতে কোন বিকাশ অভিব্যক্তি বা বৈলক্ষণ্য প্রকাশিত হয় নাই। মৎস্য কূৰ্ম্ম আদিযুগেও সে লীলা করিয়াছিল তাহদের অযুততম অধস্তন বংশধর। আজিও সেই প্রাচীন লীলার ছন্দানুবৰ্ত্তন করিতেছে । মনুষ্যের স্কুল চক্ষুতে তাহার কোন পরিবর্ত নাই। জীবতত্ত্বজ্ঞ পণ্ডিতগণের মতে তাহার মুক্তাবিনিন্দিশিশিরমণ্ডিত দুৰ্ব্বাদল উন্নতশীর্ষ বংশদণ্ডের উদ্ভিজজীব । নের বিকাশ শৃঙ্খলায় প্রাথমিক প্ররোহ হইলেও নৈসৰ্গিক নিৰ্বাচনের কি ?
