রাণী দুৰ্গাবতী । ఏe দ্বারা প্ৰক্ষালিত হইয়া এই অরণ্যপৰ্ব্বতসঙ্গুল রাজ্য প্রকৃতির রম্য নিকেতন হইয়া উঠে। প্ৰকৃতির অঙ্কশিশু অশিক্ষিত গোড়গণ ইহার বনে পৰ্ব্বতে আবাস স্থান স্থাপন করিয়া আহার বিহারে সময় যাপন করিত । ক্রমে ক্ৰমে ইহাদের দ্বারা গ্ৰাম দুৰ্গাদিও গঠিত হইতে আরব্ধ হয়, ও তাঁহাদের কোন কোন দলপতি ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র রাজ্যস্থাপনে চেষ্টা করিতে থাকে । এই বিস্তৃত প্রদেশে কালে ভিন্ন ভিন্ন হিন্দু রাজা উপস্থিত হইয়া গোড়গণের নিকট হইতে ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র রাজ্য গ্ৰহণ করিয়া আপনারা তাহদের নরপতি হইয়া উঠেন । এই রূপে বিশাল গোড়ওয়ানা কালক্রমে ভিন্ন ভিন্ন হিন্দু রাজ্যে বিভক্ত হইয়া পড়ে। মোগলরাজত্বকালে এই বিস্তৃত প্রদেশে প্ৰায় ৭০ হাজার গ্রাম ও অনেক দুর্ভেদ্য कृ5 दिJभान छिल । এই গোড়ওয়ানা প্ৰদেশ গঢ়া কটক * বা গঢ়া মন্দলা নামে ও অভিহিত হইত । ইহার প্রাচীন নগর গঢ়া ‘৪ কটক হইতে সমস্ত রাজ্যের নামকরণ হইয়াছিল । , ক্ৰমে ক্ৰমে ইহার অধিকাংশ ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র রাজ্য কোন কোন প্ৰবল পরাক্রান্ত নরপতির অসীন হইয়া পড়ে । এই রাজ্যের প্রাচীন রাজবংশ হীনবল হইয়া পড়িলে খরজী নামে একজন পরাক্রমশালী ব্যক্তি গঢ়াকটকের অনেক ভূভাগ অধিকার করিয়া আপনাকে স্বাধীন নরপতি বলিয়া ঘোষণা করেন । খরজীর পুত্ৰ গোরক্ষদাসও অত্যন্ত বীৰ্য্যশালী ছিলেন । তিনি গঢ়াকটকের অনেক রাজাকে স্বীয় বশে আনয়ন করেন। গোরক্ষাদাসের পুত্ৰ সুখনদাস , পিতার পাথানুসরণ করিয়াছিলেন, তঁাহার অধীনে অনেক রাজপুত আশ্বারোহী ও পদাতিক ছিল। তঁহার পুত্ৰ অৰ্জ্জুনদাস ৪০ বৎসর বয়সে রাজ্যলাভ করেন। অৰ্জ্জুনের পুত্র সুপ্ৰসিদ্ধ আমনদাস । এই আমনদাস এক দিকে যেমন
- আকবরনামায় কটকের পরিবৰ্ত্তে কটঙ্ক আছে । আকবর নামার মতে গঢ়া ও কটঙ্ক এই দুই স্থান হইতে রাজ্যের নামকরণ হইয়াছে। ফেরিস্তায় গঢ়া বা কটক লিখিত আছে। মন্দলাও একটি নগরের নাম ।
- is Xct Imperial Gazetteeras akoffs aco, “Garha-Ancient town in Jubbalpur District, Central Provinces.”
