পাতা:ঐতিহাসিক চিত্র (প্রথম বর্ষ) - নিখিলনাথ রায়.pdf/২১০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

y V ঐতিহাসিক চিত্ৰ । পরাক্রমশালী অন্য দিকে তেমনই দুষ্টবুদ্ধি ছিলেন । ইনি পিতার সহি যারপরনাই অসদ্ব্যবহার করিতেন । অৰ্জ্জুন দাস তজ্জন্য পুত্ৰকে অনেকবার কারারুদ্ধ করিয়াছিলেন । এই দুবিনীত পুত্র অবশেষে পিতৃরাজ্য • পরিত্যাগ করিয়া গান্নারাজ নরসিংহদেবের আশ্রয় গ্ৰহণ করে । নরসিংহদেব শরণাগত আমনদাসকে পুত্রনির্বিশেষে প্রতিপালন করিাতেন। এক সময়ে তিনি সুলতান সেকেন্দর লোদীর আহবানে দিল্লী গমন করিলে, আমনদাসকে স্বীয় অপ্রাপ্তবয়স্ক পুত্রের তত্ত্বাবধানে রাখিয়া যান। আমনদাস অত্যন্ত বুদ্ধিমত্তার সহিত স্বীয় কৰ্ত্তবা পালন করিয়াছিলেন । এই সময়ে অৰ্জ্জুনদাস স্বীয় অপর পুত্ৰ যোগীদাসকে উত্তরাধিকারী মনোনীত করিয়া তাহাকে সমস্ত রাজা প্ৰদান করিতে ইচ্ছক হন । এই সংবাদ আমনদাসের পক্ষে অত্যন্ত কষ্টকর হইয়া উঠে । আমিনদাস নরসিংহদেবের অনুপস্থিতিতে গোপনে পিতৃরাজ্যে উপস্থিত হইয়া স্বীয় জননীর প্রকোষ্ঠে অবস্থিতি করিতে থাকে, এবং একজন রাজসহচরকে হস্তগত করিয়া স্বীয় পিতা অৰ্জ্জুনদাসের হত্যা সম্পাদন করে। এই পিতৃহন্ত পুত্রকে রাজাধিকার হইতে বঞ্চিত করিলার জন্য গঢ়াকটকের অধিবাসিগণ যোগীদাসের পক্ষ অবলম্বন ত করিয়া তাহাকে আমনের বিরুদ্ধে উত্তেজিত করে । যোগী পিতৃসম জ্যেষ্টের বিরুদ্ধাচরণ করিতে অস্বীকৃত হওয়ায়, তাহারা অগত্যা নরসিংহদেবকে গঢ়কটক অধিকারের জন্য আহবান করে । নরসিংহদেব আমিনের এষ্ট পৈশাচিক ব্যাপারে ক্রুদ্ধ হইয়া গঢ়া কটক স্বীয় অধিকারে আনয়ন করিলার জন্য দিল্লী হইতে নিশুক্রান্ত হন । আমিনদাস তাহার আগমনের সংবাদ পাইয়া প্ৰথমে বনে পৰ্ব্বতে লুকাইয়া থাকে, পরে পথিমধ্যে র্তাহার শরণাগত হয়। নরসিংহদেব আমনকে ক্ষমা করিয়া তাহার পিতৃরাজা তাহাকেই সমৰ্পণ করেন। গঢ়াকটকের একাধীশ্বর হইয়া আমনদাস আপনার প্রভুত্ব ও পরাক্রম প্রদর্শনে প্ৰবৃত্ত হন। যৎকালে সুলতান বাহাদুর গুজরাটি রাইসিন শাসনে অক্ষম হইয়া পড়েন, সেই সময়ে আমনদাস বর্তাহার সাহায্যের জন্য অগ্রসর হন । সুলতান, বাহাদুর আমনের-সাহায্যে রাইসিনকে স্বীয় আয়ত্তাধীনে আনয়ন