পাতা:ঐতিহাসিক চিত্র (প্রথম বর্ষ) - নিখিলনাথ রায়.pdf/২৩২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

& Sty ঐতিহাসিক চিত্ৰ । হীন হইয়া পড়েন । কিন্তু তঁহার জীবিতকালের শেষ মুহূৰ্ত্ত পৰ্য্যন্ত তিনি পঞ্জাবের একাধীশ্বর ছিলেন। তঁহার মৃত্যুর কিছু পূৰ্ব্ব হইতেই তিনি ইঙ্গিত দ্বারা যুদ্ধাদির সংবাদ লইতেন ও আজ্ঞাদি প্ৰদান করিতেন ! যখন দেশীয় ও বিদেশীয় সকল চিকিৎসাই বিফল হইল দেখিলেন এবং জ্বর ও উন্দরী তাহাকে অধিকার করিয়া বসিল, তখন তিনি বহু অর্থব্যয়ে পুরোহিতদিগকে আহবান করিয়া শান্তিস্বস্ত্যয়নের দ্বারা আরোগালাভের চেষ্টা পাইলেন । দেব মন্দিরাদিতে বহুতর অশ্ব, হস্তী, সুবৰ্ণ আসন ও ভূরি অর্থ প্রেরিত হইতে লাগিল। তঁহার মৃত্যু-দিনে—১৮৩৯ খৃষ্টাব্দের ર૧ জুন তারিখে—এক কোটি’ মুদ্র দরিদ্রদিগের নিমিত্ত রাজপথে ছিটাইয়া দেওয়া হইয়াছিল এবং তিনি বহুমূল্য কোহিনুরটি শ্ৰীশ্ৰীজগন্নাথে দেবের মন্দিরে প্রেরিত হইবার জন্য আজ্ঞা প্ৰদান করিয়াছিলেন-কিন্তু সৌভাগ্যক্রমে ব্রিটিশ রাজমুকুটের সৌন্দৰ্যবৰ্দ্ধনের নিমিত্তে সে আজ্ঞা পালিত হয় নাই । সন্ধ্যার সময় তাহার দেহের অবসান হয় ; পর দিন প্ৰাতঃকালে শবদেহ গঙ্গোদকে বিধৌত হইল এবং রাজসন্মানের সহিত বাহিত হইয়া দাহনস্থলে নীত হইল। শবদেহের পশ্চাতে পশ্চাতে রণজিতের চারি মহিষী বহু অলঙ্কার ও মণিমুক্তাদিতে বিভূষিত হইয়া সুসজ্জিত শকটে যাইতে লাগিলেন, তৎপশ্চাতে পাঁচজন ক্রীতদাসী স্বল্প পরিচ্ছদে চলিল । দাহনস্থলে উপস্থিত হইয়া প্ৰধান মহিষী রামকুন্দন রণজিতের পুত্র, প্ৰপৌত্র ও প্ৰধান মন্ত্রীকে রণজিতের মৃতদেহ স্পর্শ করাইয়া শপথ করাইয়া লইলেন যে, তাহারা পরস্পরে মিলিত থাকিবে ও খালসাদিগের প্রতি আসক্ত থাকিবে । ইহার যদি অন্যথা হয় তাহা হইলে সতীর অভিশাপে সহস্ৰগোবধজনিত মহাপাপে তাহার লিপ্ত হইবে । তদনন্তর মহারাণী চিতায় আরোহণ করিয়া রণজিতের মস্তক স্বীয় ক্ৰোড়ে স্থাপন করিয়া বসিলেন। অন্যান্য মহিষীরা ও ক্রীতদাসীরা চতুর্দিকে ঘিরিল । দাসীদিগের মধ্যে কয়েকজন সদ্যক্রীত ও নিতান্ত বালিকা ছিল। নির্দিষ্ট সময়ে চিতায় অগ্নি প্রদত্ত হইল। শিখা বিস্তার করিয়া অগ্নি উৰ্দ্ধে উঠিল, পতিব্ৰতা রমণীগণের প্রশান্ত মুখমণ্ডল ক্ষণেক মাত্র দৃষ্ট হইল, অগ্নি ও