পাতা:ঐতিহাসিক চিত্র (প্রথম বর্ষ) - নিখিলনাথ রায়.pdf/৩০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

জগৎশেঠ উপক্ৰমণিকা “শেঠের বংশের হায় ! ঐশ্বৰ্য্যের কথা সমস্ত ভারতে রাষ্ট্র প্রবাদের মত । জগৎশেঠের নাম বঙ্গে যথা তথা লক্ষ্যমুদ্রাসমকক্ষ। জাহ্রবীর মত শতমুখে বাণিজ্যের স্রোতে অনিবার ঢালিছে সম্পদরাশি সমুদ্র ভাণ্ডারে। আপনি নবাব যিনি (অন্য কোন ছার !) ঋণপাশে বাধা সদা যাহার দুয়ারে।” কবিবর নবীনচন্দ্রের অতুল কল্পনা শেঠগৌরবের যে আমরগীতি চিরস্মরণীয় করিয়া তুলিয়াছে, অষ্টাদশ শতাব্দীর প্রত্যেক বঙ্গবাসীর কথোপকথন-প্রসঙ্গে সেই গৌরব-গাথা সত্য সত্যই ধ্বনিত হইয়া উঠিত। কেবল বঙ্গবাসী কেন,- সমগ্ৰ ভারতবাসীর নিকটেও শেঠ-বংশের ঐশ্বৰ্য্যকাহিনী প্ৰবাদকাহিনীর মত প্রচলিত হইয়া পড়িয়াছে। রূপৈশ্বৰ্য্যের অপূৰ্ব্ব সমাবেশ ভারতবর্যের ময়ুরসিংহাসন ইতিহাসবিখ্যাত হইয়া রহিয়াছে ;- সেই গৌরবোদীপ্ত মোগলরাজসিংহাসনাধিপতি। “দিল্লীশ্বরে বা জগদীশ্বরে বা” হইতে পর্ণকুটীরবাসী শাকান্নভোজী দরিদ্র গৃহস্থ পৰ্যন্ত, সকলেই শেঠবংশের ঐশ্বৰ্য্যকাহিনী আলোচনা করিতে আগ্ৰহ প্ৰকাশ করিতেন। র্যাহারা সৌভাগ্যলক্ষ্মীর করুণাকিীট

  • জগৎশেঠ পূর্বপ্ৰকাশিত ঐতিহাসিক চিত্রে প্রকাশিত হইতেছিল, কিন্তু অসম্পূর্ণ থাকায় “পুনঃ প্ৰকাশিত হইতে আরম্ভ হইল ।