পাতা:ঐতিহাসিক চিত্র (প্রথম বর্ষ) - নিখিলনাথ রায়.pdf/৩০১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সাময়িক-প্ৰসঙ্গ রুসি-জাপান যুদ্ধ—আর্থার বন্দর জাপানের হস্তে পতিত হওয়ার পর জাপান অভিনব তেজে উদ্দীপ্ত হইয়া রুসিয়াকে পরাজিত করিবার জন্য ব্যগ্ৰ হইয়াছেন। অধিকাংশ জাপান সৈন্য এক্ষণে মুকডেন্ট অভিমুখে ধাবিত হইতেছে, শীঘ্রই আবার বসুন্ধর নরশোণিতে রঞ্জিত হইবেন, এইরূপ অনুমান হইতেছে । ওদিকে আবার অন্তর্বিপ্লবে রুসিয়াকে জীৰ্ণ করিয়া ফেলিতেছে । শ্রমজীবিগণ তাহদের অসুবিধা দূর করার জন্য ধৰ্ম্মঘট করিয়াছে ও জারের নিকট আবেদনের জন্য অগ্রসর হইতেছে । ফাদার গেপোন তাহদের নেতা হইয়া জার দরবারে গিয়াছিলেন, কিন্তু রাজ-কৰ্ম্মচারিগণ তাহাদিগকে এরূপ নিৰ্য্যাতন করিয়াছে যে তজ্জন্য দেশমধ্যে অগ্নি প্ৰজ্বলিত হইয়া উঠিয়াছে। গেপোন পলায়ন করিয়া ফ্রান্সদেশে আশ্রয় লইয়াছেন । গোরকি নামক সুপ্ৰসিদ্ধ গ্ৰন্থকার ও নির্বাসিত হইয়া কারারুদ্ধ আছেন । জনসাধারণের প্রতি রাজ কৰ্ম্মচারিগণের ব্যবহার অত্যন্ত কঠোর বলিয়া প্ৰতীয়মান হইতেছে। জারের পিতৃব্য ভূডিমির ও সার্জিয়স কঠোরতার মাত্রী কিছু বাড়াইয়া তুলিয়াছেন ; ফরাসীবিপ্লবের প্রথমেও এইরূপ ব্যাপার ঘটিয়াছিল। তখনকার ষোড়শ লুইএর সঙ্গে বৰ্ত্তমান জারেরও কতক সাদৃশ্য আছে। উভয়েই দুৰ্ব্বালচিত্ত। সুতরাং রুসিয়ার অদৃষ্টে কি আছে বলা যায় না। অন্তর্বিপ্লবে ও বহিরাহবে রুসিয়ার অবস্থা অত্যন্ত শোচনীয় হইয়া উঠিয়াছে। কিন্তু ফরাসী-বিপ্লবে ফ্রান্স বহিযুদ্ধে জয়লাভ করিয়া অত্যন্ত দুৰ্দ্ধৰ্ষ হইয়া উঠিয়াছিল। রাজকীয় দলকে বিধ্বস্ত করিয়া বিপ্লবপক্ষ সমস্ত সেনার নেতৃত্ব গ্ৰহণ করায় ফ্রান্স ইউরোপের মধ্যে অজেয় হইয়া উঠে । ফ্রান্সের সেই পরাক্রমের শেষ ফল অবশেষে নেপোলিয়ন মূৰ্ত্তিতে আবির্ভূত হইয়া সমগ্ৰ ইউরোপে এক মহা তুফানের সৃষ্টি করিয়াছিল। কিন্তু রুসিয়া-বিপ্লবের নেতৃগণ সেইরূপ পরাক্রমশালী হইয়া জাপানের সম্মুখীন হইতে পরিবেন কি ? তাহা যদি না