পাতা:ঐতিহাসিক চিত্র (প্রথম বর্ষ) - নিখিলনাথ রায়.pdf/৩১৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

OOR येङिझ्ानिक द्धि । সোরা, লবণ, গাজা, আফিঙত, ডাকবিভাগ, রেলওয়ে ও টেলিগ্রাম প্ৰভৃতি পন্থা হইতে গবৰ্ণমেণ্টের অর্থভাণ্ডার পূর্ণ হইতেছে, তখন এ সকল বিষয় হইতে এক কপৰ্দক ও সংগৃহীত হইত না। কিন্তু তখন জমির উৎপাদিকা শক্তি, উৎপন্নদ্রব্যের পরিমাণ, অর্থাগমের সুবিধা, এবং দেশে ধনাধিক্য এত ছিল যে লোকে স্বল্পায়াসে স্বল্প আয় করিয়া, তদ্বারা বহুবিলাসে, সমৃদ্ধভাবে ও পরম সুখে জীবন যাপন করিত । রাজায় রাজায় বিবাদ, বিদ্রোহীর বিদ্রোহ ও নানা দেশে সৈন্যপরিচালনা প্ৰভৃতি অপ্রীতিকর ব্যাপার নিত্য সংঘটিত হইলেও, সে সব ব্যাপারে প্রজাকুলের ব্যাকুল হইবার আবশ্যকতা ছিল না, বা তদ্বারা তাহাঁদের শান্তি বা বিলাসভঙ্গ করিত না । রাজধানীর উন্মুক্তসমুদ্রে বিদ্রোহপবনে যে প্ৰচণ্ড সমরতরঙ্গ সমুখিত করিত, নিভূতপল্লীর দূরপ্রান্তে পৌছতে পৌছতেই তাহার ক্ষীণরেখা শান্তসলিলের সমতলে বিলীন হইয়া যাইত। সৈয়র মুতাক্ষরীণের পত্রে পত্রে এই সকল বিষয় পাঠ করিলে, মনে মনে যে হর্ষেৎপত্তি হয়, তাহাতে গ্ৰন্থকারের সামান্য দুই একটি দোষের বিষয় বিস্মৃত হইয়া তাহার প্রতি যুগপৎ ভক্তি ও প্রীতির সমুদ্রেক হয়। অসংখ্য অসংযোজ্য ঐতিহাসিক ঘটনা সংগ্ৰহ করিয়া, বিরাট ঐতিহাসিক পুস্তক প্ৰণয়ন করিতে গ্ৰন্থকারকে কত কষ্ট ও কত চেষ্টা করিতে হইয়াছিল, তাহাও আমাদের বিবেচনার বিষয়ীভূত না হইয়া পারে না । সৈয়র মুতাক্ষরীণের গ্রন্থকীৰ্ত্তার নাম সৈয়দ গোলাম হোসেন খাঁ । মহম্মদের দৌহিত্র হোসেনের বংশধরগণ “সৈয়দ” নামে পরিচিত হইয়া মুসলমান জগতে কিরূপ সম্মানিত হন, বঙ্গদেশে তা হা অবিদিত নাই । গোলাম হোসেন উচ্চবংশসস্তৃত এবং সুশিক্ষিত । বহু রাজনৈতিক ব্যাপারে র্তাহার সংশ্ৰব থাকিলেও তাঁহার জীবন প্রধানতঃ সাহিত্য ও জ্ঞানচর্চায় অতিবাহিত হইয়াছিল, বলা যাইতে পারে । তিনি ১৭২৬ খৃষ্টাব্দ হইতে অষ্টাদশ শতাব্দীর শেষ পৰ্য্যন্ত জীবিত ছিলেন। যে সকল ঘটনার বিস্তৃত বিবরণ মুতাক্ষীণে স্থান পাইয়াছে, তাহার অধিকাংশই তিনি স্বচক্ষে দেখিয়াছিলেন, কতকগুলি ঘটনায় নিজেই সংশ্লিষ্ট ছিলেন, অবশিষ্ট স্বীয় আত্মীয় বা বিশ্বাস্ত বন্ধু