পাতা:ঐতিহাসিক চিত্র (প্রথম বর্ষ) - নিখিলনাথ রায়.pdf/৩৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মহারাণী স্বৰ্ণময়ী । V) পরিয়া কেহ বা পরিতে পরিতে রাজা হইবার আশায় দ্রুতপদে অন্তঃপুরের দিকে ধাবিত হইলে পর, কেবল একটি বালককে চুপ করিয়া দাড়াইয়া থাকিতে দেখিয়া, যে পুরাতন ভূত্য তাহাদিগকে ཅན་སྒྱུ་ཝང་། লইয়া যাইতেছিল সে বলিল “কি তুমি অন্দরে যাইবে না” ? দরিদ্র বালক উত্তর করিল, “আমাকে জুতা পরাইয়া দিবে কে ?” তখন সেই ভৃত্য অবাক হইয়া বালকের মুখের দিকে তাকাইয়া বলিল “দেখিতেছি আমার তোমাকেই জুতা পরাইতে হইবে”, এই বলিয়া জুতা পরাইয়া তাহাকে অন্তঃপুরে লইয়া গেল। ভবানী সেই বালকটিকেই মনোনীত করিলেন। পরে সেই রামকৃষ্ণ মহারাজাধিরাজ পৃথ্বীপতি বাহাদুর উপাধিতে ভূষিত হইয়া এবং বিপুল সম্পত্তির । অধিকারী হইয়াও বিষয় বৈভবে কিছুমাত্ৰ অনুরক্ত ছিলেন না। মহারাণী স্বৰ্ণময়ীর সম্বন্ধেও সেইরূপ একটি গল্প শুনিয়াছিলাম যে, যখন কুমার কৃষ্ণনাথের বিবাহের জন্য পাত্রী অন্বেষণ করিতে কাশীমবাজার রাজবাটি হইতে কৰ্ম্মচারিগণ বৰ্দ্ধমান জেলার নানাস্থানে প্রেরিত হইয়াছিলেন, তাহারা কয়েকটি পাত্রী মনোনীত করিয়া কাশীমবাজারে সংবাদ দেওয়ার পর স্বৰ্ণময়ী পাত্রীরূপে নিৰ্বাচিত হইলেন। সেই নির্বাচনের পূর্বে র্তাহারা যে কয়টি পাত্রীকে দেখিয়াছিলেন তাহাদিগকে দেখিবার সময় প্ৰত্যেককে একটি করিয়া মোহর দিয়াছিলেন। ধনী হউক বা দরিদ্র হউক আশীৰ্ব্বাদী কিম্বা যৌতুকাদির জন্য প্রদত্ত অর্থ গ্ৰহণ করিতে কেহই অস্বীকৃত হয় না। কিন্তু সেই বালিকাগণের মধ্যে একটি দরিদ্রকন্যা সেই অপরিচিত ব্যক্তিগণের দান গ্ৰহণ করিতে সন্ধুচিত হইল। কৰ্ম্মচারিগণের অনেক আদর অনুরোধ সত্ত্বেও কিছুতেই বালিকা স্বর্ণময়ী সেই মোহর স্বহস্তে লইল না। যিনি দরিদ্রজননী হইয়া জন্মগ্রহণ করিয়াছিলেন, তিনি পরকে অকাতরে দান করিতে হয় তাহাই জানিতেন, পরের নিকট হইতে দান লাইতে তো তিনি : শিক্ষা করেন নাই। ভগবান শুভসন্মিলন ঘটাইয়া দিলেন। স্বর্ণময়ীর । সহিত কৃষ্ণনাথের বিবাহ হইল। রাজা কৃষ্ণনাথও সৎকাৰ্য্যে দান করিতে মুক্তহস্ত ছিলেন। সুশিক্ষিত স্বামীর সংসর্গে থাকিয়া স্বর্ণময়ীর উদার মনোবৃত্তি