পাতা:ঐতিহাসিক চিত্র (প্রথম বর্ষ) - নিখিলনাথ রায়.pdf/৩৮৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বাগারহাটে খাঁ জাহান আলীর কীৰ্ত্তি । రిuc হস্তস্থিত দণ্ড দ্বারা আঘাত করিতেই সে দরজা খুলিয়া গেল। তিনি বিস্ময়ে দেখিলেন মন্দিরের মধ্যে একটী অগ্নিকুণ্ড জলিতেছে এবং তাঁহারই পাশে বসিয়া দীর্ঘ জটাজুটধারী এক সন্ন্যাসী নিবিষ্টমনে ধূমপান করিতেছেন। খাঞ্জালী সন্ন্যাসীকে অভিবাদন করিয়া তাহার নিকট দীঘির জন্য জল প্রার্থনা করিলেন । সন্ন্যাসী বললেন ‘আমি নিৰ্জনস্থান দেখিয়া ভৈবের নদীর তীরে এই মন্দির নিৰ্ম্মাণ করিয়া সেখানে বসিয়া তপস্যা করিতেছিলাম, এইমাত্র আমার তপভঙ্গ হইল । এই অল্প সময়ের মধ্যে মন্দিরটার উপর এত মাটাি পড়িয়াছে এও ভগবানের এক খেলা। যাহা হউক, তুমি সৎ উদ্দেশ্যেই লোকের হিতের জন্য এই দীঘি খনন করিয়াছ, ভগবানের কৃপায় ইহা অবিলম্বেই সুন্দর সুস্বাদু পানীয় জলে পরিপূর্ণ হউক ৷” সন্ন্যাসীর মুখের কথা মুখে থাকিতে না থাকিতেই মন্দিরের নিকট হইতে তীর বেগে জল উঠিতে লাগিল, খঞ্জালী সাহেব এই ব্যাপার দেখিয়া সন্ন্যাসীকে অভিবাদন করিয়া অশ্ব ছুটািইলেন, তেজস্বী অশ্বও চক্ষের পলক ফেলিতে না ফেলতেই তাহাকে লইয়া দীঘির তীরে পৌছিল। দেখিতে দেখিতে দীঘি। জলে পূর্ণ হইয়া গেল। সন্ন্যাসী হইতৃেষ্ট এ* দীঘি। জলে পরিপূর্ণ হষ্টয়াছিল বলিয়াই খাঞ্জালী সাহেব ইহাকে ঠাকুর দীঘি নামে অভিহিত করেন।” এই দীঘিতেই খাঞ্জালী সাহেবের “কাল পাড়” ও “ধলা পাড়” নামক দুইটী প্রকাগুদেহ পোষা কুম্ভীর ছিল । ধাৰ্ম্মিক খাঞ্জালী সাহেবের কুম্ভীয় দুইটীও ধাৰ্ম্মিক ছিল । ‘ধল পাড়’ ও ‘কাল পাড়া’ অনেক দিন হই’ল ইহলীলা সম্বরণ । করিয়াছে। এখন তাহদের কাসেকটা বংশধর মাত্ৰ আ এছ । ইহায়া সৰ্ব্বাংশে ‘ধলপাড়’ ও ‘কালপাড়ের’ উপযুক্ত বংশধর । কুম্ভীরগুলির অসাধারণ ধৰ্ম্ম ও ক্ষমতা দেখিয়া স্থানীয় লোকে তাহাদিগকে দৈবশক্তিসম্পন্ন বলিয়া মনে করে । স্ত্রীলোকের সন্তান না হইলে কিম্বা কাহারও কোন আপদ বিপদ ঘটিলে তাহারা ra কাননা করিয়া তাহদের নিকট কপোত, হঁস, মোরগ, ছাগলছানা প্ৰভৃতি মানসিক করে। কামনা সিদ্ধ হইলে মানসিক পশু পক্ষত্নী লইয়া দরগায় উপস্থিত হইলে মসজিদের ফকীর খাঞ্জালীর উদ্দেশ্যে শিনী দিয়া মানতকারীকে সঙ্গে লইয়া ঘাটে গিয়া উচ্চৈঃস্বরে ডাকিলেই কুম্ভীরগুলি তৎক্ষণাৎ ভাসিয়া উঠিয়া