জগৎ শেঠ । ©ግ S সক্ষম হইয়াছিলেন। তাহার পর রঘুজী বিহারে উপস্থিত হইয়া আফগানগণের সহিত মিলিত হন। ইহার পর রঘুজী বাঙ্গলায় উপস্থিত হইয়া মুর্শিদাবাদাভিমুখে অগ্রসর হইবার ইচ্ছা করেন। রঘুজীর বিহারে অবস্থানকালে নবাব সৈন্যগণের সহিত র্তাহার ঘোরতর যুদ্ধ উপস্থিত হয়। এই যুদ্ধে আফগান সেনাপতিগণ বিশ্বাসঘাতকতা করায় নবাব জয়লাভে সক্ষম হন নাই। তিনি প্ৰথমে রঘুজীর নিকট সন্ধির প্রস্তাব করিয়া পাঠান, কিন্তু রঘুজী মীর হাবিবের পরামর্শে অসন্মত হওয়ায়, নবাব তাঁহাকে বাধা প্রদানের জন্য প্ৰবৃত্ত হন। রঘুজী মুর্শিদাবাদের দিকে অগ্রসর হইলে নবাব র্তাহাকে আক্রমণ করেন। এই আক্রমণে রঘুজী পরাজিত হইয়া প্রবলবেগে মুর্শিদাবাদের দিকে অগ্রসর হন। নবাবের আদেশানুসারে নওয়াজেস মহম্মদ ধা রঘুজীকে বাধা প্ৰদানের জন্য প্ৰস্তুত হন। এদিকে নবাব নিজে তাহার পশ্চাদ্ধাবন করেন। রঘুজী মুর্শিদাবাদের নিকটস্থ কোন কোন স্থান লুণ্ঠন করিয়া কাটোয়ার দিকে অগ্রসর হন। নবাব মহারাষ্ট্রীয়গণের পশ্চাদ্ধাবন করিয়া কাটোয়ার নিকট তাহাদিগকে আক্রমণ করেন। এই আক্রমণে পরাজিত হইয়া রঘুজী বাঙ্গলা পরিত্যাগ করিতে বাধ্য হন। তাহার পর কিছুদিন বঙ্গভূমি হারাষ্ট্ৰীয় আক্রমণ হইতে নিস্কৃতিলাভ করিতে সক্ষম হইয়াছিল। রঘুজীর সহিত দ্ধে যে সমস্ত আফগান সেনাপতি বিশ্বাসঘাতকতা করিয়াছিল, তাহাদের ধ্যে সমসের খাঁ ও সর্দার খাঁ প্ৰধান । নবাব মহারাষ্ট্রীয়দিগকে বিতাড়িত করিয়া উক্ত সৈনিক কৰ্ম্মচারীদ্বয়কে অবসর প্রদান করেন । কিন্তু ইহারা রিশেষে ঘোর বিদ্রোহের অবতারণা করিয়াছিল। মহারাষ্ট্রীয়দিগের আক্রমণ হইতে শান্তিলাভ করিয়া নবাব কিছুকালের জন্য বভ্ৰাম করিবার অৰকাশ পাইয়াছিলেন । এই অবসরে তিনি স্বীয় দৌহিত্র ও প্ৰয়পাত্র সিরাজ উদ্দৌলা ও তাহার ভ্রাতা এক্রাম উদ্দৌলার বিবাহ প্ৰদান করেন । এই সময়ে তিনি মহাতাবােচাদের জগৎ শেঠ উপাধির জন্য বাদসহ রবারে চেষ্টা করেন, সম্রাট মহম্মদ সাহের মৃত্যু হইলে তৎপুত্র আহম্মদ সাহ দিল্লীর সিংহাসনে উপবিষ্ট হন। নবাব তাহার নিকট মহাতাবটাদের জগৎ শেঠ
