is कैडिदानिक ष्यि। তাহার পরিচয় পাওয়া যায়। যাহা হউক কেদার রায় যে একজন প্ৰকৃত ক্ষমতাসম্পন্ন ও বীরপুরুষ ছিলেন তাহাতে অনুমাত্ৰ সন্দেহ নাই । কেদার রায় ও ইশাখা এক দলবদ্ধ হইয়া, মোগল বাদাসাহের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করেন, এই সময়ে ১৬০২ খৃষ্টাব্দে বিপুলবাহিনী ও রণতরী সুসজ্জিত হইয়া ব্ৰহ্মপুত্র, মেঘনা ও কালীগঙ্গার তটও সমাচ্ছন্ন করিয়া ফেলে। মোগল সেনাপতি বাজ বাহাদুর বিপুল আয়োজন করিয়া কেদার রায়কে দমন : করিবার জন্য শ্ৰীপুর উপনীত হন । কিন্তু কেদার রায়ের বিক্রম সহ করিতে না পারিয়া মানসিংহের নিকট আরও সৈন্য সাহায্য চাহিয়া পাঠান। রাজা মান তৎক্ষণাৎ একদল সুশিক্ষিত সৈন্য বাজবাহাদুরের সাহায্যার্থে প্রেরণ করিয়া স্বয়ং পশ্চাৎ অনুসরণ করেন । মানসিংহ রণক্ষেত্রে উপস্থিত হইয়া কেদার রায়কে পরাস্ত করেন বটে কিন্তু তাহার রাজ্য গ্ৰহণ করেন নাই ! * সম্ভবতঃ সেই যুদ্ধে পরাস্ত করিয়া কেদার রায়ের গৃহাধিষ্ঠাত্রী দেবী শীলাময়ীকে মানসিংহ জয়পুর লইয়া যান এবং স্বয়ং কেদার রায়ের একটী কন্যাকে গ্ৰহণ করেন । 嗣 আকবর বাদাসাহের রাজত্বের ৪৮ বৎসরে ১৬০৩ খৃঃ পুনরায় কেদার রায় মোগলের বশ্যতা অস্বীকার করেন, এই সময়ে তাহার সহিত ইশা খাঁর বিবাদ । ইশ মোগল পদে মন্তক অবনত করিয়াছে, এক মাত্র মগরাজকে অবলম্বন করিয়া কেদার বঙ্গমাতার স্বাধীনতা সংরক্ষণপ্ৰয়াসে বদ্ধপরিকর । কেদার রায় পাচশত জাহাজ সংগ্ৰহ করিয়া মোগল সৈন্যাধ্যক্ষ কিলমাককে অবরোধ করিয়া ফেলিলেন, এবার ঘোরতর যুদ্ধ বাধিল, মোগল সেনা পরাস্ত হইয়া পলায়ন করিতে অসমর্থ হইয়াছিল, কিন্তু মানসিংহ পুনরায় বহু সৈন্য সহ যুদ্ধস্থলে উপনীত হইয়া শ্ৰীপুর অবরোধ করিলেন। আকবরনামাতে দেখা যায় কেদার,রায় ভয়ানক যুদ্ধে আহত হইয়া ধৃত হন-কিন্তু মানসিংহের নিকট আনীত হইবার অল্প
- ইলিয়ট ১০৬, পৃষ্ঠা বালাম ও । W . * মেঘনাদ ভট্টাচাৰ্য প্রেরিত প্ৰবন্ধ, সাহিত্যপরিষৎ পত্রিকা ।
