পাতা:ঐতিহাসিক চিত্র (প্রথম বর্ষ) - নিখিলনাথ রায়.pdf/৫০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

S 3 ঐতিহাসিক চিত্ৰ । বণিকৃগণের কারখানা স্থাপিত হইয়া প্ৰাচ্য ও প্রতীচ্যের পার্থক্য অনুভব করাইবে। এতকাল যে লাসা নিষিদ্ধ নগরী রূপে জগতের নিকট প্রচারিত ছিল, ১৯০৪ সালের আগষ্ট মাস হইতে তাহ ইউরোপীয়গণের সুখগম্য হইয়া উঠিল ! ইংরেজ তিব্বতে প্রবেশ করিলেন কেন ? তিব্বতের সহিত রুসিয়ার একটু গুপ্ত সম্বন্ধের বিষয় ব্রিটিশ-গবৰ্ণমেণ্ট অনেক দিন হইতে আশঙ্কা করিতেছিলেন, তাই অনেকদিন হইতে তিব্বতে বিশেষতঃ লাসায় প্রবেশের জন্য চেষ্টা হইতেছিল। শ্ৰীযুক্ত বাবু শরচ্চন্দ্ৰ দাস লাসার পথ আবিষ্কার করিয়াছেন। প্ৰধানতঃ সেই পথ অবলম্বন করিয়াই ইংরেজ বাহিনী লাসায় প্ৰবেশ করিয়াছে। শরচ্চন্দ্ৰ দাসের বর্ণনার সহিত অনেক স্থলের অবস্থানের ঐক্য হইতেছে বলিয়া ইংরেজ কৰ্ম্মচারিগণ প্ৰকাশও করিয়াছেন। সুতরাং তিব্বত-অভিযানের মূলে একজন বাঙ্গালী আছেন বলিয়া আমরা গৌরব করিব কিনা বুঝিয়া উঠিতে পারিতেছি না । আমরা জানি এক কালে বাঙ্গালী তিব্বতে ভারতীয় জ্ঞান বিজ্ঞানের প্রচার করিয়াছিলেন । আবার যদি বাঙ্গালীর দ্বারা পাশ্চাত্য জ্ঞান বিজ্ঞানের স্রোত তিব্বতে প্রবাহিত হয়, তাহা হইলে আমরা গৌরব করিতে পারি। কিন্তু সেই জ্ঞান বিজ্ঞানের পরিবর্তে রক্তস্রোত বা বিলাসস্রোত প্রবাহিত হইলে আমাদের গৌরব করিবার বিষয় থাকিবে কি ? তিব্বতে যাহাতে রক্তস্রোত প্রবাহিত না হয় তজ্জন্য ভারত গবৰ্ণমেণ্ট বিশেষভাবে সতর্কতা অবলম্বন করিয়াছেন। কিন্তু স্রোত না বহুক, দৈবদুর্বিপাকে একটু আধটু যেন বৃষ্টি হইতেছে। অবশ্য রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে ইংরেজ তিব্বতে প্ৰবেশ করিয়াছেন ; কিন্তু ভারতের কল্যাণের জন্য তিব্বতে প্ৰবেশ করিতে হইল বলিয়া, তাহার ব্যয়ভার যে আমাদের স্কন্ধে পড়িল, সে বিষয়টিত উদারহৃদয় ইংরেজজাতি বিবেচনা করিয়া দেখিলেন না । ভারত- ব্যতীত ইংলণ্ডের কি ইহাতে কোনই উপকার হইবে না ? প্রথমে যে বাণিজ্যব্যাপদেশে তিব্বতে প্ৰবেশ করা হইল, তাহা কি ভারতীয় পণ্যের পশরা নামাইবার জন্য ? তাহাতে কি ইংলণ্ডের কোনই অংশ নাই ? আমরা বুঝি, তাহার বার আনাই ইংলণ্ডের পণ্যে পরিপূর্ণ থাকিবে । রাজনৈতিক হিসাব ব্যতীত