পাতা:ঐতিহাসিক চিত্র (প্রথম বর্ষ) - নিখিলনাথ রায়.pdf/৫৫২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
৩৪
ঐতিহাসিক চিত্র।

করিলেন। সেখান হইতে কামরান ও আরমাবেল হইয়া আলোরে প্রত্যাগমন করেন এবং ৪০ বৎসর রাজত্বের পর চচের মৃত্যু হয়।

 চচের মৃত্যুতে তাহার ভ্রাতা চান্দর সিংহাসনে আরোহণ করেন। ইনি ৮ বৎসর রাজত্ব করিয়া পরলোক গমন করিলে চচের পুত্ত্র দাহির আলোর অধিকার করিলেন ও চন্দরের পুত্ত্র রাজ ব্রাহ্মণাবাদ অধিকার করিলেন; কিন্তু এক বৎসর পরেই রাজের মৃত্যু হওয়ায় চচের জ্যেষ্ঠ পুত্ত্র বর্ষিয়া ভগ্নী মাঞি বাইকে সঙ্গে লইয়া ব্রাহ্মণাবাদে রহিলেন। ভগ্নী বিবাহযোগ্যা হইয়াছে দেখিয়া বর্ষিয়া ৭০০ শত অশ্বারোহী ৫০০ শত পদাতিক সঙ্গে দিয়া ভগ্নীকে ভ্রাতা দাহিরের নিকট ভাটিয়া রাজের সহিত বিবাহ দিবার জন্য পাঠাইয়া দিলেন। কিন্তু দাহির জ্যোতিষীগণের নিকট শুনিলেন যে বুইয়ের স্বামী হিন্দ ও সিন্দুদেশের রাজা হইবে। ইহা শুনিয়া দাহির নিজেই ভগ্নীকে বিবাহ করিলেন। বর্ষিয়া ইহা শুনিয়া দাহিরকে শাস্তি দিবার ইচ্ছায় আলোর অভিমুখে যাত্রা করিলেন কিন্তু আলোরে আসিয়া বর্ষিয়ার মৃত্যু হইল। দাহির স্বমগ্র সিন্দুদেশের রাজা হইলেন। এই সময়ে ইরাক ও মাকারনের শাসন কর্ত্তা হাজাজ তাঁহার এক নিকট আত্মীয় মহম্মদ কাসিমকে সিন্ধু আক্রমণ করিতে পাঠাইয়া দেন। কাসিম দেবল অধিকার করিয়া সীগুয়ীস্তান যাত্রা করেন। সেখানে তুমুল যুদ্ধ হয় এবং কাসিম যুদ্ধে জয়ী হন।

 নিরুন পর্ব্বতদুর্গ অতিক্রম করিয়া মিহরান নদীতীরে আসিয়া কাসিম সৈন্য সমাবেশ করিলেন এবং তথা হইতে দাহিরের নিকট দূত প্রেরণ করেন, দূত ফিরিয়া আসিলে তিনি একজন সেনাপতিকে ৬০০ অশ্বারোহীর সহিত দাহিরে পুত্ত্র যুকির বিরুদ্ধে প্রেরণ করেন। যাহাতে যুকি পিতার সহিত যোগ দিতে না পারেন ইহাই উদ্দেশ্য। এই সময়ে হাজাজ ২০০০ দুই সহস্র সৈন্য কাসিমের সাহায্যার্থে প্রেরণ করেন। মিরবানের তীরে দুই পক্ষে ৫ দিন ধরিয়া যুদ্ধ হওয়ার পর দাহির যুদ্ধে নিহত হন। তাঁহার ছিন্ন মুণ্ড ও পাতাকা কয়েকটী কাসিম হাজাজের নিকট প্রেরণ করেন। হাজাজ তাহ। পুনরায় খলিফ ওয়ালিদের নিকট পাঠাইয়া দেন। রাণী মাঞি বাই দুর্গ অধিকৃত হইলে, অগ্নি