পাতা:ঐতিহাসিক চিত্র (প্রথম বর্ষ) - নিখিলনাথ রায়.pdf/৬৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Yè<b ঐতিহাসিক চিত্ৰ। - প্রেরিত হন। রণজিতের নিকট এই দূতের আগমন তত ভাল বোধ হইল না । র্তাহার মতে ইংরাজের নিজের সীমার ভিতর থাকা উচিত; এবং যমুনা পৰ্য্যন্ত রাজ্যবিস্তারের চেষ্টায় তঁহাকে ইংরাজের কোন রূপ বাধা দেওয়া উচিত নয়। রণজিতের এই ফরাসীভীতিতে কিছুমাত্র বিশ্বাস ছিল না। নেপোলিয়ন ইউরোপের দমনকৰ্ত্ত হইলেও তিনি কিছু স্বয়ং দেবতা বা দৈবী শক্তির অধিকারী নহেন। তিনি যদি সেনা লইয়া সহস্ৰ সহস্ৰ ক্ৰোশ মরু ও পাৰ্ব্বত্য পথ অতিক্ৰম করিয়া ঈপ্সিত স্থানে আসিবার চেষ্টা করেন, তাহা হইলে সিন্ধুনদ পৰ্যন্ত পৌছিতে একটি প্ৰাণীও রহিবে না। রণজিৎ ও তাহার সভাসদবর্গের নিকটে ইংরাজের এই কথার উত্থাপন যমুনার অপর পারবত্তী স্থানে হস্তক্ষেপের সুচনার ন্যায় বোধ হইল। মেটকাফ রণজিৎকে মধ্য এসিয়ার রাজন্যবর্গের সহিত অনতিবিলম্বে নেপোলিয়নের বিরুদ্ধে মিলিত হইবার জন্য বার বার অনুরোধ করিয়াছিলেন ; তবে মেটকাফ নিজে এ বিষয়ের অসম্ভাবনা মনে বুঝিয়াছিলেন। কিনা তাহা জানা যায় না। এই প্ৰস্তাবে মহারাজ বলিলেন, “ইংরাজ স্বীয় রাজ্যরক্ষার জন্য আমার সাহায্য চাহিলে, যদি আমি স্বীকৃত হই, আশা করি তাহারাও আমার রাজ্যের ভিত্তি দৃঢ়ীভূত করিতে আমাকে সাহায্যদানে বঞ্চিত করিবেন না।” দূত জিজ্ঞাসা করিলেন “কি প্রকারে ?” তৎক্ষণাৎ উত্তর হইল, “শতদ্রুর পরপারস্থ হিন্দুস্থানে যে সকল শিখরাজ্য আছে, সে সকলের উপর আমার আধিপত্য স্বীকার করিয়া ।” “সে বিষয়ে কোন কথা বলিবার আমার উপর কোন আদেশ নাই। তবে এ বিষয় আমি গবৰ্ণমেণ্টের নিকট জানাইব।” এই কয়টি কথা মেটকাফ নিশ্চেষ্টভাবে মন্ত্রোচারণের ন্যায় বলিয়া গেলেন। এ কথায় রণজিতের বিরক্তি উৎপাদনা করিল। তিনি ইংরাজের কাৰ্য্যবিধি জানিতেন। মেটকাফ গবৰ্ণমেণ্টকে জানাইলে কি ফল হইবে তাহা তিনি অগ্ৰেই বুঝিলেন। তিনি দেখিলেন উত্তর আসিতে যখন বিলম্ব হইবে, তখন এই সময়ে নীরবে বসিয়া থাকা অপেক্ষ ঐ সকল স্থান অধিকার করিয়া রাখিলে তঁহার পক্ষে সুবিধাজনক হইবে। এই বিবেচনায় আর কালবিলম্ব না করিয়া