পাতা:ঐতিহাসিক চিত্র (প্রথম বর্ষ) - নিখিলনাথ রায়.pdf/৭২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ANe ঐতিহাসিক চিত্ৰ । যদি প্রাজ্ঞ হও তবে দেবতা ও বৃদ্ধদিগের প্রতারণা করিও না—প্রতিভূ হইও না-সাক্ষী হইও না । 弘 পেষণ যন্ত্র, ছেদন যন্ত্র, পাকস্থান, জলাধার, বৰ্দ্ধনী (গাড়, ঘটী) এই পাঁচটি ব্যবহাৰ্য্য বস্তু হইতে গৃহস্থাদিগের ধৰ্ম্মবাধিক পাপ জন্মে, অর্থাৎ এই সকল স্থানে হিংসা ঘটবার সম্ভাবনা । দয়া, দান, ইন্দ্ৰিয়সংযম, দেবপূজা, গুরুভক্তি, ক্ষমা, সত্য, শৌচ, তপস্যা চৌৰ্য্যবিমুখত এই গুলি গৃহস্থাদিগের ধৰ্ম্ম । ধৰ্ম্মের অবয়ব বহুবিস্তৃত হইলেও তৎসমস্তের সার পরোপকার। পতিতের উদ্ধার, অহিংসা, বিনয়, ইন্দ্ৰিয়সংযম, ন্যায়পূর্বক জীবিকাগ্ৰহণ, মৃদুতা, এই সকল ধৰ্ম্ম পাপ নাশ করে। অতিথি, যাচক, দুঃস্থ ব্যক্তি গৃহাগত হইলে যথাশক্তি ভক্তি-শ্রদ্ধাসহকারে তাহাদিগকে কৃতাৰ্থ করিয়া পশ্চাৎ আহার করান উচিত । পীড়িত,ক্ষুধা-তৃষ্ণায় কাতর ও ভয়যুক্ত হইয়া যদি কোন ব্যক্তি আগমন করে, তবে তাহাকে বিশেষরূপে অৰ্চনা করিবে । দুলভ মনুষ্যজন্ম পাইয়া এমন কাৰ্য্য করিতে হইবে যে, যাহাতে এক মূহুৰ্ত্তও যেন বৃথা না যায়। এই সমস্ত নীতি যে হিন্দু নীতিশাস্ত্ৰ হইতে গৃহীত হইয়াছে তাহা স্পষ্টই বুঝা যাইতেছে। বৌদ্ধ ও জৈনধৰ্ম্ম হিন্দুধৰ্ম্মের নিকট যে অনেক বিষয়ে ঋণী তাহার যথেষ্ট প্ৰমাণ আছে। জৈনের চতুৰ্বিংশতি তীর্থঙ্কর বা মহাপুরুষের পূজা করিয়া থাকেন, ইহারা জিন নামে অভিহিত হন। মন্দিরে তঁহাদের প্রতিমূৰ্ত্তি স্থাপিত করিয়া পূজা করা হয়। ঋষভ, অজিত, সম্ভব, অভিনন্দন, সুমতি, পদ্মপ্ৰভা, সুপাশ্ব, চন্দ্ৰপ্ৰভা, পুষ্পদন্ত, শীতল, শ্রেয়াংস, বসুপূজ্য, বিমল, অনন্ত, ধৰ্ম্ম, শান্তি, কুন্তু, অর, মালি, সুব্রত, নাম, নেমি, পার্শ্ব ও মহাবীর এই চতুর্বিংশ জন জৈনদিগের জিন বা তীর্থঙ্কর। ইহাদের মধ্যে পার্শ্বনাথের মত ভারতের সর্বস্থানেই প্ৰচলিত। পাশ্বনাথ কাশীধামের অশ্বসেন নামে জৈনরাজের পুত্র, ইহার মাতার নাম