পাতা:ঐতিহাসিক চিত্র (ষষ্ঠ বর্ষ) - নিখিলনাথ রায়.pdf/৪৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

88 ঐতিহাসিক চিত্ৰ । ‘e 2장 전 F: II স্বং স্বং চরিত্রং শিক্ষেরন পৃথিব্যাং সৰ্বমানবাঃ।” এই উক্তির বলে পৃথিবীর সকল জাতি যে ব্ৰহ্মাবৰ্ত্তবাসী ব্ৰাহ্মণদিগের নিকট হৃষ্টতে আপনাদের আচার ব্যবহার বা জ্ঞান শিক্ষা করিয়া থাকিৰে । একথা প্রমাণের স্থলে উত্থাপন করিলে, তঁতারা ‘হইতে পারে না” ব্যতীত আর কোনই সদুত্তর পদান করিতে পারেন বলিয়া বোপ চন্ধ না । কেন যে তঁ তারা ঐরূপ: উত্তর প্রদান করেন, তাতার একটি কারণ আছে। প্ৰতীচ্য আৰ্যাগণ ১° গোল ক্ষা পা!ধ্য আৰ্য্যগণের পাদ্ধান্য স্বীকার করিতে হয়। বলিয়া, ঐ সমস্ত প্ৰমাণ তঁহাদের নিকট অগ্ৰাহ । অবশ্য পাশ্চাত্য পণ্ডিতগণ তাতাতে সন্মত হইতে না পাবেন, কারণ র্তাহাদের আদিপুরুষগণ। ভারতের জ্ঞান বিজ্ঞান লইয়। গরীয়ান, এ কথা স্বীকার করিলে, “তঁহাদের গৌরবের হ্রাস হইতে পারে, কিন্তু আমাদের প্রত্নতত্ত্ববিদগণের হৃদয়ে কি আপন দিগের পূর্বপুরুষদিগের গৌরববিস্তারের সম্পূতাটাও জাগরূক হয় না ? “তঁহারা হয়ত বলিবেন, আমরা সত্যের আদর ব্যতীত কদাচি মিথ্যার আদর করিতে পারি না। কিন্তু আমরা জিজ্ঞাসা করি যে, কল্পনাকে বাস্তলে পরিণত কবিয়া তাহারা কি মিথ্যার প্রশ্রয় দিতেছেন না ? কতকগুলি কাল্পনিক পদ্মাণের বলে সন্তা-নিৰ্দ্ধারণের চেষ্টা, মিথ্যার প্রসার বৃদ্ধি ব্যতীত আর কি বলা যাইতে পারে ? ইহার পর অক্ষর বা লিপি-সমস্যার কথাটা আমরা বলিতে চাহি । প্রত্নতত্ত্ববিদগণ স্থির করিয়া বসিয়াছেন যে, আমাদের পূর্বপুরুষগণ লিখিতে জানিতেন না, অৰ্থাৎ তা হারা নিরক্ষার ছিলেন । শুকপক্ষীর ধৰ্ম্মই তাঁহাদের একমাত্র অবলম্বন ছিল। যদি কোন পণ্ডিত সংহিতা, ব্ৰাহ্মণ, উপনিষদ, পাণিনি-সুত্ৰ প্ৰভৃতি গ্রন্থে অক্ষর ও রেথার উল্লেখ দেখাইয়া দেন, তাহা হইলে তঁাহারা বলিবেন, সে অক্ষর এ অক্ষর নহে তাহা দেবাক্ষর। সেমিটক জাতির নিকট হইতে আমরা অক্ষর