পাতা:ঐতিহাসিক চিত্র - পঞ্চম পর্য্যায়.pdf/১০৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

"বেহুলার” ঐতিহাসিকতা oc জনগণের মনোভাব আদান প্ৰদানের সুবিধা হইবে, তাহারা ভারতীয় ভাষার উপর অনাৰ্য্যজাতির প্রভাবের কথাটা সকল সময় মনে রাখেন। कि न दठिgड °iांद्रि ना । উপরি-উক্ত বিষয় ব্যতীত, অনাৰ্য্যদের নিকট আমরা আরও কতকগুলি বিষয় পাইয়াছি। অনাৰ্য্যদেবদেবী পূজা তাহদের অন্যতম। শুনাযায়, আর্য্যের যথন যেখানে থাকুক, মহানঈশ্বরের অভিব্যক্তি ব্যতীত, খল, নৃশংস ও অত্যাচারী প্ৰকৃতির কোনও দেবদেবীর উপাসনা করিাতেন না। নাগপূজা বা মনসাপূজা অনাৰ্য্যদের আমদানী। অনাৰ্যেরা পৃথিবীর অনেক স্থানে নাগপূজা করিতেন, হয়ত ভারতবর্ষায় আৰ্য্যেরা এই জন্যই অনাৰ্য্যজাতির শাখাবিশেষকে ‘সর্প,” “নাগ,” “ তক্ষক,” “গোস্কুর” প্ৰভৃতি নামে অভিহিত করিতেন । আৰ্য্যানাৰ্য্যের সংঘর্ষ ও সংমিশ্রণ। শুধু যে বৈদিক সময়েই ঘটিয়াছিল তাঙ্গা নহে, অপেক্ষাকৃত আধুনিক সময়েও ঘটিয়াছে। দৃষ্টান্তস্বরূপ বলা যাইতে পারে যে, সপ্তদশ শতাব্দীর মধ্যভাগে বেরেস্টলী প্রদেশে অনাৰ্য্যদিগকে তাড়াইয়া দিয়া, একটী আৰ্য্যরাজ্য স্থাপিত হয় । এইরূপ বহুসংঘর্ষ ও সংমিশ্রণে আৰ্য্যানাৰ্য্যের ভাবের আদানপ্ৰদান অনেকবার হইয়াছে। এই রূপ কোনও এক স্থলে বা একাধিক স্থলে এরূপ হওয়া সম্ভব যে আৰ্য্যগণ্ডীর কেহ কেহ নির্বিবাদে নাগপূজায় যোগদান করিয়াছেন, আবার কেহ কেহ সহজে নূতনদেবীর পূজা করিতে রাজী হন নাই। চাঁদ সদাগরের আখ্যায়িকার মূলে এরূপ কোনও ঘটনা থাকা সম্ভব। হিন্দু পুরাণে নাগবংশকে প্ৰথমতঃ নিতান্ত হীনাবস্থায় দেখিতে পাওয়া যায়। কিন্তু ইহাদের পরাক্রমবলেই হউক, অথবা আৰ্য্য সমাজের অন্তবিবাদের দরুণই হউক, অথবা একত্র সহবাস-জাত স্বাভাবিক সৌহার্দবশতঃই হউক, উত্তরকালে আৰ্য্য-সন্তানেরা ইহাদের সহিত যোগ দিতেন। বাসুকির সাহায্যে সমুদ্র-মস্থিান হইয়াছিল। বাসুকির ভগিনী