পাতা:ঐতিহাসিক চিত্র - পঞ্চম পর্য্যায়.pdf/১৮৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বিদ্রোহের পর বঙ্গের অবস্থা । > ?> সন্মত করেন। উভয়ে পরামর্শ করিয়া স্থির করেন যে, বেতন দেওয়া ২য় নাই--এই কারণ দেখাইয়া আবদুলের অধীনস্থ সৈন্যদলকে বিদ্রোহী করিয়া তৎসাহায্যে দেওয়ানকে নিধন করা হইবে । সমস্ত সক্তি স্থির করতঃ আবদুল কেবল উপসত্ত অবসরের প্রতীক্ষা করিতে লাগিল । কার্যতলব খ্যা ও যুবরাজের ব্যবহারে সন্দিগ্ধ হইয়া উঠেন এবং পাছে * {&ার প্রাণের কোন ও হানি হয়, এই আশঙ্কায় গুহ হইতে বহিৰ্গত ঠাইতে হইলেই, তিনি বস্ত্রের নিম্নে বৰ্ম্মপরিধান করিতেন এবং উপপুক্স সংথ্যক বিশ্বস্ত ও সশস্ত্র অন্তচর সঙ্গে রাখিতেন। একদা এক সাধারণ উৎসব উপলক্ষে দেওয়ান পূৰ্ব্বোক্ত প্রকারে সজ্জিত হইয়া, অশ্বপুষ্ঠে আরোহণ পূর্বক নাজিমকে সন্মান প্ৰদৰ্শন নিমিত্ত তং প্রাসাদে যাইতেছিলেন, পথিমধ্যে আবদুল ওয়াহিদ ও তদীয় সৈন্যদল ঊৰ্তাহাকে পরিাবেষ্টন করিয়া তদণ্ডেই তাহদের প্রাপ্য বেতন প্ৰদান করিবার জন্য মহাকোলাহল উপস্থিত করিল । দেওয়ান ইহাতে কিছুমাত্র ভীত না ঈইয়া, তাহাদিগকে লইয়া নাজিমের প্রাসাদে গমন করিলেন । তারপর নাজিমের প্রতি কোনরূপ সম্মান প্ৰদৰ্শন না করিয়া তৎপর্শ্বে দ গুয়মান হইয়া অতি দৃঢ়তা ও তেজসিতার সহিত নিস্কাসিত অসি। হস্তে বলিলেন,— ” এই যে হাঙ্গামা, ইহার মল কারণ একমাত্র আপনি স্বয়ং ; যদি আপনি আমার প্রাণসংহার করিতে মনস্ত ক’রে থাকেন, তবে আমি ও তার মূল্যসরূপ আপনার প্রাণ লাইতে ক্লািতসংকল্প । অপিচ। আমার বিশ্বাস সমাট ও আমার বধের পতিশোধ লইতে কখনই বিলম্ব করিবেন না ।” এইরূপ মন্ত্রণ বিফল হওয়ায় এবং দেওয়ানের তেজসিতা ; বীরত্বের পরিচয় পাইয়া ওস্মান কিংকৰ্ত্তব্য বিমূঢ় হইয়া পড়িলেন এবং পাছে সাম্রাট এই সংবাদ জ্ঞাত হইয় তাহার দণ্ডবিধান করেন, এই আশঙ্কায়, তিনি মৌখিক নানারূপ স্বীয় নির্দোষিতার ভাব দেখাইয়া,