পাতা:ঐতিহাসিক চিত্র - পঞ্চম পর্য্যায়.pdf/৩০০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।

ঢাকার বস্ত্রশিল্প ও ঢাকা নামের কারণ। হইতে আরম্ভ হইলে, দেশী সূতাও অচল হইয়া যায়। ১৮২৫ সনে মিঃ হানকিসেন বস্ত্রের মাশুল ১০ দশ টাকার হ্রাস করিয়া দেন। কিন্তু এ অসাময়িক অনুগ্রহ ঢাকার বস্ত্র-শিল্পের আর উন্নতি করিতে পারিল না। অবশেষে ১৮২৮ সন হইতে বিলাতি সুতার মসলিন প্রস্তুত হইতে থাকে। এই অধঃপতনের পরেও ঢাকায় বৎসর প্রায় বিশ হাজার খণ্ড মসলিন প্রস্তুত হইত। টেলার সাহেব লিখিয়াছেন, ঐ সময় (১৮৩৮) একখানা ৯ তোলা (১৬০০ গ্রেণ) ওজনের মসলিন ১০ পাউণ্ড (তখনকার ১০০ টাকা) পর্যন্ত মূল্যে বিক্রয় হইয়াছে। ১৮৯০ সনে কলিন্স সাহেব লিখিয়াছেন- “যাহারা বিলাতি সূতার সাধারণ রকম মসলিন প্রস্তুত করিতে পারেন, ঢাকাতে এখনও এরূপ ৫০০ ঘর ব্যবসায়ী আছে এবং ২/১টী পরিবারে এখনও সেই সুপ্রসিদ্ধ ঢাকাই মসলিন প্রস্তুত করিতে পারে।” ঢাকার কমিসনর পিকক সাহেব তাহার বর্ষিক বিবরণীতে লিখিয়াছেন- ‘১৮৭৫ খ্রীষ্টাব্দে নবাব আবদুলগনি বাহাদুর প্রিন্স-অব-ওয়েলসকে উপহার দেওয়ার জন্য যে তিন খানা মসলিন প্রস্তুত করাইয়াছিলেন, এই তিন খানা সর্ব্ব বিষয়ে প্রাচীন সুক্ষ্ম শিল্পের আদর্শানুরূপ হইয়াছিল। এই তিন থানার ওজন ৯.৫ তোলা মাত্র হইয়া- ছিল। আকারে এক এক খানা ২০ গজ লম্বা ও ১ গজ প্রস্থ ছিল। উপযুক্ত পারিশ্রমিক পাইলে এখনও এইরূপ বস্ত্র ঢাকায় প্রস্তুত হয়-মিঃ গুপ্তের রিপোর্ট হইতে অবগত হওয়া যায়। এখনও ঢাকার মসলিন আফগানিস্থান, পারস্য, আরব ও তুরস্কে রপ্তানী হইয়া থাকে। তুরস্কে পূর্ব্বের প্রচুর পরিমাণে মসলিন রপ্তানী হইত। রুষ-তুরস্কের যুদ্ধের পর তুরস্কে রপ্তানীও অনেক পরিমাণে কমিয়া গিয়াছে। ১৮৭৯–৮০ সনে ৮০ হাজার টাকার মসলিন বিক্রয় * “This boon came too late.” Clay.