পাতা:ঐতিহাসিক চিত্র - পঞ্চম পর্য্যায়.pdf/৩২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

নেপালের প্রাচীন পুথি । R O এই ২৫টাই প্ৰধান। আমি আর অধিক অনুবাদ করিব না ; অধিক অনুবাদ করিবার আবশ্যকতাও দেখিনা, কারণ গ্রন্থের "প্ৰকৃত দেখাইবার জন্য যে সকল শ্লোক অনুবাদ করা হইয়াছে তাহাই যথেষ্ট। এতদ্বারা পুস্তকের * ধরণ বেশ বুঝিতে পারা যায়। সমগ্ৰ গ্ৰন্থ অনুবাদ করা আমার উদ্দেশ্য নহে, তাহাতে প্ৰবন্ধ সুদীর্ঘ হইয়া যাইবে এবং মাসিক পত্রে এরূপ অনুবাদ সুসঙ্গত নহে। এই পুস্তকখানি আদান্ত মনোযোগ সহকারে পাঠ করিলে একটা প্ৰয়োজনীয় ও গুরুতর প্রশ্ন পাঠ কদিগের মনোমধ্যে উদয় হইতে পারে ; প্রশ্নটা এই-হিন্দুশাস্ত্রকারগণ বেদনিন্দুককে, ব্ৰাহ্মণনিন্দুককে ও শাস্ত্রবিরোধিগণকে “নাস্তিক” নামে অভিহিত করিয়াছেন এবং হিন্দুশাস্ত্ৰে বা সাহিত্যে এরূপ নাস্তিককে কখন উচ্চস্থান দেন নাই । বুদ্ধদেব বেদের বৈরিতা করিয়াছেন, ব্ৰাহ্মণের ব্ৰাহ্মণত্ব নষ্ট করিতে চেষ্টা করিয়াছেন, শাস্ত্রকে খণ্ডন করিয়াছেন, কৰ্ম্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে হস্তোত্তোলন করিয়াছেন, জাতিভেদের মূলে কুঠারাঘাত করিয়াছেন, বিগ্ৰহসেবার বিরুদ্ধে দণ্ডায়মান হইয়াছেন, নাস্তিকতায় দেশকে প্লাবিত করিয়া দিয়াছেন এবং পরিণামে হিন্দু সমাজ হইতে সম্পূর্ণরূপে স্বতন্ত্র হইয়া নূতন মত সৃষ্টি করিয়াছেন, অথচ হিন্দুর দশাবতারের মধ্যে বুদ্ধ এক অবতার। ইহা কি কখন যুক্তি সঙ্গত হইতে পারে ? হিন্দু কি এতই কাপুরুষ ও নির্বোধি যে, এ হেন বুদ্ধকে “দেব” ও “অবতার” বলিয়া শাস্ত্ৰে সন্মান করিবে ? তবে এ বুদ্ধ কে ? এই গ্রন্থে তাহার মীমাংসা আছে। পূর্বে উক্ত হইয়াছে, বৌদ্ধগণ দুই দলে বিভক্ত ; একদলের নাম বিনশ্বর, অপর দলের নাম অবিনাশী । হিন্দুর অবতার মধ্যে যে বুদ্ধের নাম পাওয়া যায়, তাহ ‘অবিনাশী” বুদ্ধ ; ইহঁর জন্ম কপিলাবস্তুনগরে হয় নাই। ইনি অনাদি, অনন্ত, অজর, অমর এবং অব্যয় । এ সম্বন্ধে বিচার করিতে হইলে অনেক কথা, অনেক তর্ক ও অনেক প্রসঙ্গের উত্থাপন করিতে হয় । বৰ্ত্তমান a.