পাতা:ঐতিহাসিক চিত্র - পঞ্চম পর্য্যায়.pdf/৩৩৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মহারাজ সুসঙ্গের সামাজিক নায়কত্ব লাভ । లS বিবাহ করায়, “যদ্রনার্থী অবসাদ বা দোষ” গ্ৰস্থ বলিয়া কুলীন সমাজ কৰ্ত্তক পরিত্যক্ত হইলেন । মল্লিক জানকীনাথ এইরূপে বার্থ সঙ্কল্প হইল্প, বড়ই বিষন্ন ও ক্ষুন্ন ঠাইলেন ; কি উপায়ে যদুনার্থী অবসাদ বা দোষের সংশোধন হইতে পারে, তৎসম্বন্ধে প্রধান প্রধান কুলীন ও কুলাঙ্গণের পরামর্শ গ্ৰহণ করিলেন । তাহারা ব্যবস্থা দিলেন, যদি কমল লাহিড়া স্বীয় পৌলকে গ্ৰহণ করেন এবং বারেন্দ্ৰ কুলনায়ক তাহিরপুরের রাজা বা রাজপত্রের সহিত স্বীয় কন্যার বিবাহ দিতে পারেন, তবে সৰ্ব্বসম্মতি ক্রমে যতনাথী অবসাদের निद्रम् श८ङ| °८३ ।। জানকীনাথ এইবার পথ পাইলেন । তাহার শক্তি, ধন, ঐশ্বৰ্য্য, প্রতিপত্তি প্রভৃতি কিছুরই অভাব ছিলনা, তাহিরপুরের রাজবংশে কন্যা দান কারবার জন্য, তিনি স্বীয় সমস্ত শক্তি ক্ষয় করি৩ে প্ৰস্তু ৩ হাঁহলেন । অধ্যবসায়ণীলের কোন কাৰ্য্যই নিশ্বফল হয়না । জানকীনাথ অচিরেই সফল কাম হইলেন । তাহিরপুরের রাজা ইন্দ্ৰজিত বাকী রাজস্বের জন্য, ঢাকা নগরাতে কারারুদ্ধ ছিলেন । জানকীনাথ এই সৎ বাদ অবগত হহয়া বাকী রাজস্ব প্ৰদান পূর্বক তাহাকে কারামুক্ত করেন এবং ভ্রাতুষ্কন্যা বিবাহের আলু পুপিাক ঘটনা বিবৃত করিয়া, পীয় ক্যার সািহত ঠাহার বিবাহের প্রস্তাব করেন । রাজা হ’গ্ৰাজিত আনন্তোপায় হইয়া বলিলেন, যদি কমল) লাহিড়ী তাহার পৌত্রকে গ্ৰহণ করেন, তবে আমি নিশচয়ই আপনার কথ্যর পাণিগ্রহণ করিব । এইবার কমল লাহিড়ীকে বাণী ভূত করাই জানকীনাথের প্রধান কর্তব্য মধ্যে গণ্য হইল । তিনি বহু চেষ্টা করিলেন, ভয়, প্রলোভন প্রভৃতি কিছুতেই কমল লাহিড়ীকে টলাইতে পারিলেন না । বারভূইয়ার অন্ততম চাদ রায়ের সহিত জানকীনাথের বন্ধুত্ব ছিল । অনদ্যোপায় হইয়া, তিনি এজন্য চাদ রায়ের সাহায্য প্রার্থী হন ; চাঁদ রায়ের অনুরোধে