পাতা:ঐতিহাসিক চিত্র - পঞ্চম পর্য্যায়.pdf/৪৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

q98 ঐতিহাসিক চিত্ৰ । মের সম্মানার্থ ‘সেলিম নগর’ নামে অভিহিত হয়। আবুল ফজল এবং অন্যান্য মুসলমান লেখকগণ দক্ষিণ ও পূর্ববঙ্গ জয় করায় এবং ঢাকায় শাসন-কেন্দ্ৰ সংস্থাপনের পূর্বে এই নগর সীমান্ত প্রদেশের একটী প্ৰধান স্থান বলিয়া নির্দেশ করিয়াছেন । এই গ্রন্থে বৰ্ত্তমান ময়মনসিংহ জেলায় অবস্থিত ‘সেরপুর দশকাহনীয়া” হইতে পৃথক করার নিমিত্ত, ইহা ‘সের পুর মুরচা” বলিয়া বর্ণিত হইয়াছে। দিল্লীর সম্রাট-পুত্র সেরাসার নাম হইতে এই নগরের নাম উৎপন্ন হইয়াছে, এইরূপ কথিত হয়। পারস্য डाबान মুরাচা অর্থ দুর্গের বক্র, বুরুজ ( Battetry । ) রাজা মানসিংহ ১৫৮৯ খৃষ্টাব্দ হইতে ১৬০৬ খৃষ্টাব্দ পৰ্য্যন্ত সম্রাট আকবরের বঙ্গদেশীয় সৈন্যাধ্যক্ষ থাকা কালীন সেরপুরে একটা প্ৰাসাদ নিৰ্ম্মাণ করিয়াছিলেন বলিয়া কথিত হয় । ১৬৬০ খৃষ্টাব্দে ভারতবর্ষে ওলন্দাজ শাসনকৰ্ত্তা ‘ভনড্যানক্ৰিক” বঙ্গদেশের যে মানচিত্ৰ প্ৰস্তুত করেন, তাহাতে বোয়ালিয়া হইতে পূর্ব এবং উত্তর দিকে যে দীর্ঘ পথ বৰ্ত্তমান রাজসাহী, পাবনা, বগুড়া এবং রঙ্গপুর জেলা হইয়া আসাম সীমান্ত পৰ্য্যন্ত আঙ্কত আছে, তাহাতে পার্শ্বস্থ তৎকালীন প্রধান তিনটী নগরের নাম দৃষ্ট হয়, তাহার অন্যতমটী এই সেরপুর। ইহা হইতে ইহার গুরুত্ব উপলব্ধি করা যায়। অবশ্য এই মানচিত্রে” ( Seerpur mirro ) এইরূপ লিখিত থাকায় ইহা সেরপুর বলিয়া চিনিয়া উঠা কঠিন । গত শতাব্দীতে মৎকালে নাটোরের রাজগণ, তাহদের বিস্তীর্ণ জমিদারী সংস্থাপন করিতেছিলেন, তৎকালে তঁহাদের “বারদুয়ারী কাছারী” বলিয়া প্ৰসিদ্ধ একটা তহশীল কাছারীর সংস্থান এই সেরপুরে । ছিল । এই কাছারী হইতে পাঁচ লক্ষ টাকা রাজস্ব আদায় হাঁহত । সেরপুরের বৃহৎ হাটটা এখনও “বার দুয়ারীর হাট” বলিয়া পরিচিত । এই সেরপুর এবং সেরপুর সংলগ্ন স্থানে নিম্নলিখিত মসজিদ ও থানা বা আস্তানাগুলি প্ৰসিদ্ধ এবং কোন কোনটী ইতিহাসের সহিত সম্বন্ধযুক্ত ।