পাতা:ঐতিহাসিক চিত্র - পঞ্চম পর্য্যায়.pdf/৭০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মহারাজ দলিপ সিংহের পরিণাম । لانه · মৰ্ম্ম এই যে, একাদশ বৎসর বয়সে তাহার অভিভাবক বলপূর্বক তাহার। নিকট পঞ্জাব বাজেয়াপ্তের সন্ধিপত্রে স্বাক্ষর লইয়াছিলেন বলিয়া তিনি উক্ত সন্ধি অগ্ৰাহ করিতেছেন । সে নিমিত্ত তিনি স্বাধীন নরপতির ন্যায় তাহার অভিভাবকের নিকট হইতে তাহার রাজ্য আচ্ছিন্ন করিয়া লাইবার জন্য রুষিয়ার সাহায্যে শীঘ্রই সসৈন্যে ভারতবর্ষে আসিতেছেন।”• এদিকে রুষিয়ার সম্রাট দলিপের আবেদনপত্ৰ পাইয়াও তঁাহার সহিত । বিন্দুমাত্ৰ সহানুভূতি প্ৰকাশ করিলেন না। এইরূপে হতাশ হইয়া দলিপ ১৮৯০ খৃষ্টাব্দে ফ্রান্সের রাজধানী পারী নগরীতে প্ৰত্যাগমন করিলেন। এইস্থানে কিছুদিন অবস্থান করিয়া তিনি এক সাংঘাতিক রোগে আক্রান্ত হয়েনি। তৎশ্রবণে তাহার জ্যেষ্ঠপুত্র ভিক্টর দলিপ পিতার নিকট আগমন করেন । এই সময়ে মহারাজ ইংল্যাণ্ডেশ্বরীর বিরুদ্ধে যে গুরুতর . অপরাধ করিয়াছেন, তন্নিমিত্ত র্তাহার অতি গ্লানি উপস্থিত হইল। তিনি তথা হইতে ক্ষমা ভিক্ষা করিয়া ইংলণ্ডেশ্বরীকে এক পত্র লিখেন । আগষ্ট মাসের ১লা তারিখ ভারতসচিব মিঃ ক্রস মহারাজকে জানাইলেন যে, *আপনার পত্রের বিষয় বিবেচনা করিয়া ইংলেণ্ডেশ্বরী আপনাকে ক্ষমা ? করিলেন।” দলিপ এই ক্ষমাপত্ৰ পাইয়া সাতিশয় আহিলাদিত হইলেন। তিনি স্বয়ং ইহার প্রাপ্তিস্বীকারে অক্ষম হইয়া তাহার পুত্ৰকে ইহার প্ৰাপ্তিস্বীকার করিতে আদেশ করেন। তদনুসারে অক্টোবর মাসের ৩রা । তারিখ ভিক্টর দলিপ ইহার প্রাপ্তিস্বীকার করিয়া ভারত-সচিবকে পত্ৰ লিখিলেন । আগষ্ট মাসের শেষ ভাগে মহারাজ ইংলণ্ডে : প্ৰত্যাগমন করিয়া মহারাণীর অসীম দয়ার উপর নির্ভর করিলেন । মহারাণী যে তাহাকে ক্ষমা, করিয়াছিলেন, এ সমাচার আমরা গৌরবের সহিত ঘোষণা করিতেছি এইরূপ ক্ষমাশীলতাই প্ৰকৃত সদগুণ ও মহত্ত্বের পরিচায়ক । Y YEEYDL SDDDSsL SSuDL BE BES