পাতা:ওপারের আলো - দীনেশচন্দ্র সেন.pdf/১০১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

७8Picन्द्धन्द्ध डोपांeन এরপর দুইজনই চুপ হয়ে গেলেন। কানাই বাবাজি শুয়ে শুয়ে ভাবতে লাগলেন, “ তবে তো আমি গোপাল পাড়ের আশা-ভঙ্গের কারণ হ’য়ে দাড়িয়েছি। এ ঠিকনয়, আমি যশোমাধব মঠ হ’তে আপাততঃ ছুটি নেব। যদি টাকা ও মঠের উপর বিন্দুমাত্র ও লোভ থাকে, তবে আর ত্যাগ কি হ’ল।” “কিন্তু হঠাৎ পরদিনই চলে গেলে গোপাল পাড়ে ভাবতে পারেন আমি তাঁর কথা শুনে ফেলেছি। ৭৮ দিন থািকব, তার পরে অভীষ্ট পথ অবলম্বন করব।” ৭৮ দিন পরে মহান্তজি পাড়েকে ডেকে বলেন, “আমি নানাস্থানে ঘুরে ঘুরে পরিশ্রান্ত হ’য়েছি, অথচ এখানে থাকলে কৰ্ম্মের ডাকে সাড়া না দিয়ে পারব না। আমি আপাততঃ সিন্দুর-তলা গ্রামে চলুম, সেখানে মাথা রাখবার মতন একটি কুঁড়ে আছে ও আমাদের মঠের একটু জমি আছে, সেইখানে বিশ্রাম করব । তুমি এই মঠের ভার গ্ৰহণ করা ।” গোপাল পড়ে প্রথমতঃ নিজের “অযোগ্যতা সম্বন্ধে বক্ততা করতে সুর করে দিলেন। কিন্তু মহান্ত তাকে বলেন, “এতদিন ধরে রাধানন্দ । স্বামির সংযম, দাদার ধৰ্ম্ম-বিশ্বাস দেখে দেখে ও মঠের উদ্দেশ্য সাধন করতে যদি অযোগ্য থেকে থাকে, তবে এই গদির যে কি দশা তবে, তা বুঝতে পারি না । তুমি কঠোর কৰ্ত্তব্যশীল ব্যক্তি, তোমার কাজ দেখে লোকে আমার অযোগ্যতা ভাল ক’রে বুঝবে; তা আমি বুঝতে পেরেছি।” যাওয়ার দিন ঠিক” চ’ল। কিন্তু পাড়েজি রাত্রে শুয়ে শুয়ে ভাবলেন- “কানাই বাবার হঠাৎ মনের এ ভাব হ’ল কেন ? কোন ব্যারাম পীড়া হয় নাই, কয়ে গ্য দিন আগেও মস্ত বড় কাজের