পাতা:ওপারের আলো - দীনেশচন্দ্র সেন.pdf/১০২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

তালিকা করেছেন। এই বিরাগ ও শ্রমজনিত অবসাদটা নিতান্ত হঠাৎ এসেছে ব’লে বোধ হয়।” কিন্তু চট্ৰক’রে সেই সময় তঁর মাথায় একটা সন্দেহ ঢুকাল, তাতে তিনি এতটা আকুল হয়ে পড়লেন যে কপাল থেকে ফোটা ফোটা ঘাম বেরুতে লাগল। তিনি ভাবলেন, সেদিন যে মঠের একটি শিষ্যের কাছে তিনি গদি সম্বন্ধে কয়েকটি মন্তব্য বলেছেন, তাতো মহান্তজি শুনে ফেলেন নি ? সন্ধ্যাকালে ত তিনি মাঝে মাঝে পাশের ঘরের চৌপায়াটার উপর শুয়ে বিশ্রাম করেন, সেদিন আমার খেয়াল ছিল না, ও ঘরে তো তখন তিনি ছিলেন না ? সেটা কি বার ? আজি হচ্চে বৃহস্পতিবার, বুধবার, মঙ্গলবার, সোমবার। সেদিন নিশ্চয়ই সোমবার ছিল, সেদিন যাদু-গোপালের কীৰ্ত্তন হবার কথা ছিল-সে নিশ্চয়ই সোমবার । এই সিদ্ধান্তে উপনীত হ’লে তিনি জনাৰ্দন চাকরকে ডাকলেন, এবং বল্লেন, “যাদু কীৰ্ত্তনীয়ার বে দিন গান হবােব কথা ছিল, সে কোন বার ?” জনাৰ্দন ঘাড় চুলকোতে চুলকোতে পাল্লে সে সোমবার ।” “সেদিন সন্ধ্যাবেলা মহাস্তুজি কোথায় ছিলেন ?” “সে দিন ত সন্ধ্যাবেলা মহান্ত মহারাজ রামধন ঘড়িওয়ালার স্থাতে ব্যাণ্ডেজ বেঁধে আমার পাশ দিয়ে ঐ ঘরটায় ঢুকে চৌপায়াটার উপর শুয়েছিলেন । অনেকক্ষণ শুয়ে ছিলেন, ৪। ৫ ঘণ্টা হবেক । অসুখ টিসুখ হয়েছিল হয়ত। তা হবেই তো, রাত নাই, দিন নাই, রোগীদের জন্য ঘেরূপ খাটেন, খাওয়ার মধ্যে ত একবেল সিদ্ধ পোড়া কািট ভাত, পাঁচ বছরের শিশুও ওর চাইতে বেশী খায় ।” “আচ্ছা সেদিন সেই সময় আমরা কোথায় ছিলেম ?” “আপনি ও শোভালাল পণ্ডিতজি ঐ পাশের ঘরে গল্প কচ্ছিলেন।”