পাতা:ওপারের আলো - দীনেশচন্দ্র সেন.pdf/১০৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

( SRNO ) পরদিন যখন বাবাজি গোসাই প্রভুর বাড়ী হ’তে ফিরেছেন, তখন দেবেশ চোরটির মত নলিন পণ্ডিতকে নিয়ে এসে অনুতপ্ত চোখে তার দিকে চেয়ে একপাশে দাড়িয়ে রইলেন ।

  • নলিন বাবাজিকে প্ৰণাম ক’রে একখানি চিঠি দিল । বাবাজি বল্লেন-“লাখ টাকা পাঠাতে চাচ্ছে! সে টাকা দিয়ে আমি কি করব ? আমি তো বলে এসেছি, নলিন, “আমি টাকার দরকার প্র’লে যেয়ে চিঠি লিখব, শ্ৰীগোপালকে বলে আমি বেশ ভাল আছি। মঠের কাজ এখন কেমন চলছে ?”

নলিন• • • “মহারাজ, শ্ৰীগোপাল পাড়েজি বড় কঠোব কচ্ছেন। আপনি আসার পর থেকে তিনি আপনার মতই এক সন্ধ্যা একমুষ্টি অন্ন আহার করেন, পর্বোপলক্ষে প্ৰায়ই উপোস করেন, এবং সৰ্ব্বদা আপনার কাপ বলে অশ্রুপাত করেন। তিনি শুকিয়ে কঙ্কাল-সাের হয়েছেন এবং ধৰ্ম্মকার্য)- গুলির সুস্পাদন কালে নিতাস্ত ছোট চাকর-বাকবীদের দেয় কাজ নিজে করেন । “তিনি গরীব দুঃখীীর ভার নিয়েছিলেন, আমি নিজেকে - গরীব দুঃখীর মতন না তৈরী করলে তাদের দু:খ বুঝাব কি ক’ৱে ? তাদের ভার নেবা কি ক’রে ? মহান্তজি এখন থেকে আমায় ফকিরী দিয়ে গিয়েছেন, তিনি যতদিন না। আসবেন, ততদিন আমায় এই ভাবেই চলতে হবে।” শীতের রাত্রিশেষে যমুনায় স্নানক’রে যতিধৰ্ম্ম পালন করেন, এবং ভয়ানক ঠাণ্ডায় ও বহিব্বাস ব্যবহার করেন না । “কত দীন দুঃখীর পরিবার নেংটি জোটেনা, তাদের কাছে বাস ক’রে আমি বহির্বাস দিয়ে শীত নিবারণ করব কি ক’রে ? কুক্ষণে মুখ দিয়ে কি S ܕܘ