পাতা:ওপারের আলো - দীনেশচন্দ্র সেন.pdf/১২১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

MegaPigg Tsies হাড়ের টুকরাগুলি একত্র করে ব্যাণ্ডেজ বেঁধে দেয়, তবে দেবেশ হয় তা ম’রে যেতে পারে ; তার হৃদপিণ্ডের গতি এত ক্ষীণ, যে কোনরূপ জোর জবরদস্তি করলে, তখনই প্ৰাণ যাওয়ার খুব সম্ভাবনা আছে । হরিদ্বারে ওকে নিয়ে যাওয়া ছাড়া আর উপায় দেখছি না । এ ভাবে বড় জোর তিনটা দিন ওর জীবন রাখতে পারা যেতে পারে। ঔষধ টাটুকা চাই সেখান থেকে আনলে চলবে না। আজই ‘ওকে নিয়ে যেতে হবে। হাইওয়েড’ হাড়পানি একেবারে ভেঙ্গে গেছে। কিশোর রায় দেবেশকে খুব ভালবাসতেন। তিনি ঘটনাটি শুনে অত্যন্ত দুঃখিত হ’য়ে বলেন- “এখন প্ৰায় দশটার কাছাকাছি, এখান থেকে ব্যাণ্ডেলে মটর যেতে ঠিক আধঘণ্টা লাগবে, মেল বা এক্সপ্রেস পাওয়া যাবে না, প্যাসেঞ্জারে যেতে হবে।” একটি সেপাইকে ডেকে জিজ্ঞাসা কল্লেন, “দ্যাখতো, কটা বেজেছে|” এবং টাইম টেবেলাখানি আনতে আদেশ কল্পেন। সেপাই তার নিকেলের ৱিষ্ট ওয়াচ দেখে বলে “হুজুর, দশটা বাজতে ১৫ মিনিট বাকি।” টাইমটেবেলা দেখে জানা গেল ১১টা ৪৫এ, একটা ট্ৰেণ আছে। তখন কিশোর রায় তঁর বড় মটরখানি প্ৰস্তুত করতে আদেশ কৱে, দুইজন বিশ্বস্ত সেপাইকে একটা ভাল ষ্টোভ, কিছু মকরধ্বজ এবং দুই একটা টনিক ঔষধ দিয়ে, একখানি খুব ভাল সিদ্ধে মোড়া ইনড্যালিড চেয়ার ও কতকগুলি ধোয়া কাপড়েব টুকরা সঙ্গে নিয়ে বাবাজির সহিত মটরে উঠলেন । বাবাজি বল্লেন “ব্যাণ্ডেল থেকে হরিদ্ধায় ৯৪৩ মাইল দূরে, টাইমটেবলে দেখা গেল ! মোগলসবাইয়ে ই, আই, আরের গাড়ী কাল বেলা ১১৷ সময় পৌছিবে। সেখান থেকে অযোধ্যা-রোহিলাখণ্ডেৰ গাড়ীতে উঠতে হবে লাকসার ষ্টেশনে । দেখান থেকে পরশু বেলা এগার ኪፖ SSNSo