পাতা:ওপারের আলো - দীনেশচন্দ্র সেন.pdf/১২৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Seitdss! ट्व् গিয়ে দেবেশের আবার শ্বাস বন্ধ হওয়ার উপক্রম হচ্ছে দেখে, সে চেষ্টা হ’তে বিরত হয়ে দীর্ঘ-নিশ্বাস ফেলে আস্তে অগাস্তে তার বুকে হাত বুলিয়েছেন। শেষ রাত্রে মকরধ্বজ খুব তরল করে মধু দিয়ে মেড়ে এক ফোটা করে দেবেশের জিভে লাগিয়ে দিলেন, মনে হ’ল সে ফোটাটি গলা দিয়ে গেল, কিন্তু পরের ফোেটা দিতে আবার শ্বাস-কষ্ট সুরু হ’ল দেখে সে চেষ্টায় বিরত হয়ে একখানি হাতে পাখা দিয়ে আস্তে আস্তে তার মাথায় বাতাস করতে লাগলেন। দেবেশের মা থাকলেও বোধ হয় এব চাইতে বেশী শুশ্রুষা করতে রাতেন না । ভোরের বাতাসে চউক বা যে টুকু মকরধ্বজ খেয়েছে তাতে করেই হউক, পাচটার সময় দেবেশ যেন নিদ্রিত হ’য়েছে, এরূপ বোঝা গেল। বাবাজি দেখলেন ন গড়া অনিয়মিত হ’লেই চলেছে ও শ্বাস প্ৰশ্বাস ধীরে ধীরে • প্রবাচিত হচ্ছে । কতকটা আশ্বস্ত তয়ে তিনি নিজেও একটু তন্দ্রাবিষ্ট হলেন--স্বপ্ন দেখলেন, যেন দোলৎসব হচ্ছে, - হঠাৎ আবির ও কুস্কুমের লালবর্ণ দেন। রক্ত স্রোতে পরিণত হ’য়ে জগতকে ভাসিয়ে নিয়ে যাচ্ছে- রাধা কৃষ্ণ ও গোপীরা যেন রক্ত স্রোতে ভেসে যাচ্ছেন। সেই দৃশ্য দেখে দেন বাংবাজির নিশ্বাস বন্ধ ও কণ্ঠ রোধ হয়ে গেল । তিনি "ত,ব্যক্তি বেদনার একটা শব্দ করে জেগে দেখলেন, পূর্ব দিক ত’তে অরণ কিরণ শাসির ভিতর দিরে মন্দীভূত তেজে দেবেশের কপাল স্পর্শ করছে। অমনি উঠে পূৰ্ব্ব দিকে জানালার খড়পড়িগুলি বন্ধ করে দিয়ে বসে বসে ভাবলেন, “আগুণের কাছে থাকলে তাপ না লেগে যায় না, সংসার নিয়ে ঘাটলে সংসারের দুঃখ এড়ান বড় শক্তি । আমি মনে করেছিলেম। আমি একক, SSby