পাতা:ওপারের আলো - দীনেশচন্দ্র সেন.pdf/১৩২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ওপারেন্স আলো দিয়ে তঁর পুত্র শ্যামলেশও তিনি স্বয়ং হৃদয়েশের দেহটা টুকরা টুকরা ক’রে কেটে ফেলছেন। দাদার গো গো শব্দে যেন দেবেগের উল্লাস cदCत्यु याgष्छ । ডাক্তাররা দেখলেন, দেবেশ একেবারেই ঘুমোন না । তার এতটা অগ্নিমান্দ্য হয়েছে যে খাওয়া দাওয়া একরূপ বন্ধ, চক্ষু দুটি লাল । কারণ জিজ্ঞাসা করলে কিছুই বলেন না, সৰ্ব্বদাই অন্যমনস্ক ভাবে কোন একটা দিকে ভ্ৰ কুঞ্চিত ক’রে চেয়ে কি ভাবেন । র্তারা রোগের কারণ ঠিক না করতে পেরে একটু ব্যস্ত হয়ে পড়লেন। ংসঙ্গ মানসিক যন্ত্রণায় দেবেশ পাগলের মত হয়ে পড়লেন। সমস্ত মন ও দেহে এমন জ্বালা বোধ করতে লাগলেন, যেন মনে হ’ল তঁাকে কেউ অগ্নিকুণ্ডের মধ্যে ফেলে দিয়েছে। দেবেশ যতই রাধামাধবকে স্মরণ করতে যান, ততই যেন মন সে কথা ঠেলে ফেলে দিয়ে কেবলই হৃদয়েশের কথা ভেবে উত্তেজিত হয়। কখনও কখনও এরূপ ক্রোধের উদ্রেক হয় যেন ব্ৰহ্মরন্ধ ভেদ হবার জোগাড় হয় । উৎকট যন্ত্রণায় দেবেশ ছটফট করতে থাকেন, তার মনের মধ্যে কেউ যেন আৰ্ত্ত স্বরে চীৎকার ক'রে বলে “আমায় ত্ৰাণ করগো, আর তো সষ্টতে পারি না” কিন্তু উত্তেজনার কিছুতেই হ্রাস হয় না । এই নিদারুণ অবস্থায় একদিন দেবেশ রাত্ৰি ১০টার সময় বিছানার এপােশ ওপােশ ফিরে হাস ফাস, কচ্ছেন। বড় কষ্টে তিনি রাধা মাধবের যুগল মূৰ্ত্তি স্মরণ করতে চেষ্টা পাচ্ছেন। এক একবার মনে হচ্ছে যেন মাধবের চুড়ার নীল ময়ুর পুচ্ছটি তিনি আভাষে দেখতে পাচ্ছেন, কিন্তু সে মূৰ্ত্তি ঠেলে ফেলে হৃদয়ে শের চিস্তা-জনিত উত্তেজনা মনে জোর ক’রে দনু্যৰ মত ঢুকছে এবং তাকে ভয়ানক যন্ত্রণা S8