পাতা:ওপারের আলো - দীনেশচন্দ্র সেন.pdf/১৩৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অমালো গায়, তোরা শুনতে পাস ?” তারা বল্লেী “কাছেত জনপ্ৰাৰ্টী নাই-ককাই, কোন গানত আমরা শুনি নি!” ডাক্তার দুজন বল্লেন -“ও আপনি স্বপ্নে শুনে থাকবেন, আপনার মস্তিষ্ক দুর্বল, এ অবস্থায় স্বপ্নে দৃষ্ট ও স্বপ্নে শ্রত বিষয় গুলি কখনও কখনও ঠিক সত্যের মত মনে হয় ।” দেবেশ এ নিয়ে কোন তর্ক করলেন না । “কেউ শোনেনা আদি শুনি, আমার মৰ্ম্ম নিয়ে এ আনন্দের খেলা কে খেলে ?” সমস্ত দিন দেবেশ প্রার্থনা কল্লেন- “কে গান কর, কে আমায় এমন অত্যাশ্চৰ্য্য ভাবে উৰ্দ্ধদিকে টেনে নিচ্ছ! আর একটু কাছে এস, তোমাপ গান কথা না ক’য়ে কথা বলে—তুমি কেমন গায়ক একবার দেখাব।“ সেই দিন রাতে নিঝুম হয়েছে, আবার সেই গান ! "আৰ্দ্ধারাত্রিপ্ৰদীপ স্তিমিত, দেবেশি পদ্মাসনে ধ্যানের ভাবে বসে আছেন, তার সমস্ত প্ৰাণ কার প্রতীক্ষা করছে ? কার আবির্ভাবের জন্য তিনি সজল চক্ষে দেবদারু গাছে বদ্ধ-দৃষ্টি হয়ে আছেনে ? জানেলার পথে অপৰ্যাপ্ত চাদের আলো, তার মনে হ’ল সুর যেন দুহােতর কোমলতর হয়ে আসছে ; কিন্তু আশ্চর্য্যের বিষয়, উচ্চা খুব নিকটবর্গ হ’sাছে এতে সন্দেহমাত্র নাই । দেবেশের দেহে কাটা দিল, চক্ষু হতে অজস্ৰ অশ্রু পড়তে লাগল । তার পর যা বিশ্বাস্য নয়-দা কথন ও তয়নি, যা দেবেশ অপরের সম্বন্ধে হ’লে গল্প ব'লে উড়িয়ে দিত, তাঁচ ঘটল । জানেলায় লৌহেব গরাদে - শুধু মাছি ঢুকতে পারে, দ্বাবে গিলি দেওয়া, দ্বীপের অস্পষ্ট আলোকে তিনি স্পষ্ট দেখতে পেলেন, ডান ঠি!' ত খানি দ্বারা আশীৰ্ব্বাদের ভঙ্গী করে, মৃদুতাস্যে মুখখনি উজ্জ্বলক রে, একজন স্ত্রীলোক তঁাব পার্থে দাঁড়িয়ে । দেবেশের ভয় হ’লনা। এ ঘোন মায়ের মূৰ্ত্তি, সমস্ত ভয় দুর করতে এসেছেন ! ঠিক মানুষের মত দেহ নয় ; এ যেন দেহের S-oo