পাতা:ওপারের আলো - দীনেশচন্দ্র সেন.pdf/১৪১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

७ट्टa>itaइन्द्ध टपद-व्त “এদের সঙ্গে একত্র থাকা আর কিছুতেই সম্ভব পর হ’ল না । আমি আমার স্বামীর অর্জিত কিছু পুজি পেয়ে ছিলেম, তা এক জনের পক্ষে যথেষ্ট ছিল, তাই নিয়ে রাধাকৃষ্ণের নাম জপ করতে করতে বৃন্দাবন রওনা হ’লেম । “বৃন্দাবনে এসে আমি সংকল্প করলেন, ধৰ্ম্মেব জন্য কঠোর আচার পালন ক'রে আমি সবাইয়ের কাছে বিধবার আদর্শ হয়ে থাকব। দিনে রাত্রে প্রায় ৭/৮ বার যমুনার স্নান করতেম। মথুরা ও বৃন্দাবনের সমস্ত তীর্থ ও ঘাট আমি দৰ্শন করে পূণ্য অর্জন করতেম। বিশ্রান্তি ঘাট, সূৰ্য্যতীর্থ, ধ্রুবতীর্থ, চক্ৰ তীৰ্থ প্রভৃতি তীর্থ সম্বন্ধীয় সমস্ত পৌরানিক কথা আমার নিকট সুবিদিত ছিল। ষষ্টী-ঘরা কুণ্ডে স্নান ক’রে—সস্কর্ষণ কুণ্ডে স্নান করতেম। রাওল কুণ্ডে কৃষ্ণের ইচ্ছায় সৰ্ব্বতীর্থের মিলন হ’য়েছিল, ঐ কুণ্ডে স্নান ক’রে মনে হ’ত সৰ্ব্ব পাপ দূর হয়ে গেল। শ্যাম কুণ্ড ও রাধা কুণ্ডে প্রত্যঙ্গ স্নান করতেম। কংস-পালিতে কৃষ্ণ ಇಸ್ತ್ರಣ বিনাশ করে ছিলুেন, বুক্স। কুপে কৃষ্ণের সঙ্গের কুজার প্রথম মিলন হয়, তাল-বনে কৃষ্ণ তাল রক্ষক অসুরকে বধ করে ছিলেন । এই ভাবে সমস্ত ঘাট মাহাত্মা আমি সৰ্ব্বদা কীৰ্ত্তন কৰ্ত্তেম, এবং এক একদিন এক এক ঘাটে স্নান করে। মনে হ’ত, বিষ্ণু দূতেরা আমার স্নান চেয়ে চেয়ে দেখছেন এবং স্বর্গে এই পূণ্য। ফলে আমার জন্য যথাবিহিত ব্যবস্থা হ’চ্ছে। উপবাস এত বেশী করতেম, যে আমাব স্থল দেহ ক্ৰমে ক্ষীণ হয়ে পড়ল। “যে সকল বিধবারা আচার বিষয়ে কোন ও রূপ শিথিলতা দেখাতেন, তাদের আমি অন্তরের সহিত ঘুণা করতেম। আমাদের কুঞ্জের কাছে একটি ভদ্রলোকের অষ্টম বর্ষীয়া বিধবা কন্যা একখানি লাল সাড়ী পারেছিল—তাই দেখে ঘূণায় অমাৱ সৰ্ব্বাঙ্গ জ্বালুতে লাগল। আমি তৎক্ষণাৎ ܦܢܒܓܠ