পাতা:ওপারের আলো - দীনেশচন্দ্র সেন.pdf/১৬০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

( ՀԵ ) দেবেশ সম্পূর্ণরূপে আরোগ্য লাভ করে বাড়ী যা বা প্ৰতীক্ষা কছেন। বাবাজি চিঠি ਜ তিনি শীঘ্র এসে তাকে নি:স্ত্র যাবেন। তিনি মনে ভাবছেন, এবার বাড়া গিয়ে নববৃন্দাবনৰ্ট, তার দাদার নামে লিখে পড়ে দেবেন, দাম নেবেন না । কিন্তু বাবাজি আজি আসছি, কাল আসছি, বলে প্রায় ১৫ দিন, কাটিয়ে দিলেন। দেবেশ ভাবলেন, বোধ হয় তুলসী ও শ্যামলেশের জন্য দেৱী হচ্ছে। বাবাজি নাকি বলেছেন, দেবেশি বাড়ী ফিরে গেলে তিনি আর সিন্দুর তলায় থাকবেন না। দেবেশ ক্রমশঃ সাধনার পথে এক প! ক’রে এগুচ্ছেন। বৃহতের মধ্যে ছোট ছোট জিনিস "ডুবিয়ে দি দতে না পারলে জাপনের কোন স্বাৰ্থকতা থাকে না ; ছোট ছোট নদী সাগরে পৌছে চরিতার্থ হয় । حس সংসারের ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র অনুসক্তি গুলি বিশ্বপ্ৰেমে ও পৌছবার পথ-স্বরূপ 秀 চলেই সেগুলির স্বার্থকতা, নতুবা সেগুলি দিয়েব প্ৰতি আত্মাকে বেঁধে রাখবার দাড়ি স্বরূপ হয়। তার “নববৃন্দাসনের' প্ৰতি পীড়িত একটা আট বিঘা জমির প্রতি আসক্তি মাত্ৰ, এটি তিনি বেশ বুঝেছেন। সংসারের সমস্ত ত সক্তি দািব ক'রে সংস’ রেব কাজ করতে হবে। এই তার মনের অবস্থা । সে দিন রাত্রে স্বপ্নে দেখলেন। --শ্মশান ঘাটে কয়েকজন প্রৌঢ় ও সুবক একটি শব্দকে ঘিরে তাপ শেষ কাৰ্য্যের ব্যবস্থা কচ্ছেন, – সৰ্ব্ব জোষ্ঠের অনেক গুলি চুল পাকা । চিতা প্ৰস্তুত করে তঁরা বঙ্গে ঢাকা শবের মুখ খুল্পেনা-মৃত ব্যক্তির বয়স প্ৰায় ৯০। কিন্তু পৃষ্ঠাৰ মুখখানি যেন পরিচিত। দেবেশ দেখলেন, QC